বাংলারদর্পন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবিডুবা ইউনিয়নের পেড়ালবাড়ীতে গত ৫ ডিসেস্বর ভোর আনুমানিক ৪ টার পর রাসিদা আক্তার (১৯)
মুক্তার ঘরবাড়ি সহ পাশে আরেক পরিবারের সকল ঘরবাড়ি পুরে ছাই করে দিয়েছে রফিকুল ও তার সহযোগিরা।
সরেজমিনে জানা যায়, সংসারের অভাবে মুক্তা ও তার মা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতো। সেখানে মুক্তার সাথে একই গ্রামের ছেলে রফিকুল (২৫) ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে মুক্তাকে বিভিন্ন কৌশলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
তবে মুক্তা বিষয়টি বুজার জন্য সময় নেয়।
আর এদিকে রফিকুল মুক্তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং মুক্তাকে তার কাছে দ্রুত পাওয়ার জন্য অনেক ভয় দেখায়।এবং মুক্তার মুখ ও শরীরে এসিড ঝলসাবে বলেও রফিকুল হুমকি দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধায় রফিকুল মুক্তার মুঠোফোনে অনেক হুমকি দেন এবং অনেক অশ্লিল কথা বলেন। এবং তার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে জানিয় দেয়।
ঘটনার এক পর্যায়ে জানা যায়, ৪ডিসেম্বর হুমকি দেওয়ার ৮-৯ ঘন্টার পর ৫ ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ৪
টায় মুক্তার ঘরবাড়ি এবং বাসায় অনেক নিত্যপ্রয়োজনের বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ অনেক কিছুই পুরে দেয়।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান বলেন ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার সংবাদ শুনে মুক্তা ও তার মা ঢাকা থেকে গ্রামে আসেন। আসার পর তারা দুরাবস্থায় পড়েন।
মুক্তা ও তার মার কাছে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তারা জানান,রফিকুল একজন দুশ্চরিত্রের লোক এবং নেশা করে বিধায় তার কাছে আমাদের আত্বীয় করা ঠিক হবেনা। সেজন্য আমরা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিলামনা। আর এই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাদের ঘরবাড়ি পুরে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করলো এটার সরকারের কাছে দৃষ্টান্তমূলকভাবে ন্যায় বিচার চাই।