এমএ হাসান :
পরশুরাম উপজেলার মূহুরী নদী সংলগ্ন মূহুরীর চর অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘেরা মূহুরীর চরটি বিলোনিয়া স্থল বন্দর সংলগ্ন ভারত সীমান্তের নিকটেই। বালুর সৃষ্টি মূহুরীর চরের সৌন্দর্য্য সত্যিই অপরূপ। মূহুরী নদীর বালুর খ্যাতি রয়েছে সোনার খনি হিসেবেও । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলা ভূমি, অবারিত নদীর কুলু-কুলু শব্দ, ছলাৎ-ছলাৎ ঢেউয়ের গান, পাড়ার দুষ্ট ছেলেদের পানিতে নাচানাচি, চরের বিস্তীর্ণ এলাকায় সবুজের সমারোহে ভরা মূহুরীর চর। মূহুরী নদীটি ফেনীর ‘প্রাণ’ খ্যাত ।
ভারতের ত্রিপুরা পাহাড় থেকে বিলোনীয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হচ্ছে মূহুরী নদী। ‘ভাঙ্গা আর গড়া এই তো নদীর খেলা’। ৯২.৩৩ একর। মূহুরীর এ পুরো চরই দৃষ্টিনন্দন। চরের পাশে সবুজের বনে বন্যপাখির কিচির-মিচির ধ্বনি, নানা, রকম গাছ-গাছালিতে বাতাসের প্রবাহে অচেনা সুর এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। মূহুরীর চরের বিস্তীর্ণ বালুচরে বেড়াতে আসা রং বেরংয়ের অতিথি পাখির আনা-গোনা, চরের সীমানাবীহিন রাশিতে ছেলে মেয়েদের দুষ্টামি নদীর বুকে যেন আনন্দের ঢেউ তুলে। এত কিছুর পরও মূহুরী নদীর যেন দুঃখের অন্ত নেই।
“ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের মাঝে কিসের ব্যথা বাজে
নদীরে তোর দুঃখ আমি বুঝতে পারি না যে”
গীতিকারের এ গানটিই যেন মূহুরী নদীর বাস্তবতা ।সীমান্ত বাসীর অভিযোগ, ভারতের এক তরফা নদী শাসনে মূহুরী মরে যাচ্ছে। মূহুরী নদীকে বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন মনে করছে এলাকাবাসী। উপজেলার নিজ কালিকাপুর ও বিলোনীয়ায় রয়েছে মূহুরীর বিস্তীর্ণ চর। ইতিমধ্যে মূহুরীর চরে চলচিত্র ও নাটকের শুটিং হয়েছে।
প্রামাণ্য চিত্রের মাধ্যমে মূহুরীর চরের নানা দিক তুলে ধরেছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল। কেন্দ্রীয় নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মিন্টু রহমান, প্রখ্যাত নাটক নাট্যকার খায়রুল আলম সবুজ সহ অনেকে ঘুরে গেছেনে মূহুরীর চরে। তবে সরকারীভাবে উদ্যোগ নিয়ে ভারতের সাথে বিরোধপূর্ণ মূহুরীর চরের সমস্যা সমাধান ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিলে মূহুরীর চরও হতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।