চট্টগ্রাম ব্যুরো :
১২ই রবিউল আউয়াল ২রা ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাষ্ট এর ব্যবস্থাপনায় এক বিশাল মিছিল বাহির হয়। লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা উক্ত জুলুসের মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন।
জুলুসে নেতৃত্ব দেন রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীকত মুর্শীদে বরহক হযরতুল আল্লামা আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ মাদাজিল্লুহুল আলী। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ মাদাজিল্লুহুল আলী ও শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ মাদাজি্লুহুল আলী,আন্জুমানে রহমানিয়ার সুন্নীয়া ট্রাষ্ট এর ভাইস প্রেসিডেণ্ট আলহাজ মোঃ মহসাীন,সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং পি এইচ পি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান।জুলুসের অংশ গ্রহণ করার জন্য সকাল ৭টা থকে লোকজন ষোলশহর জামেয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টা নাগাদ জামেয়া ময়াদান, বিবির হাট এবং মুরাদ পুর প্রধান সড়কের মোড়সহ আশপাশের এলাকায় লোকজন কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়।
সকাল ৯.৪৫ মিনিটের দিকে আল্লামা তাহের শাহ মাদাজিল্লুহুল আলীর নেতৃত্বে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়া মাদ্রায়া থেকে জুলুসের মিছিলটি বের হয়ে বিবির হাট, মুরাদপুর,,পাচলাইশ থানা মোড়,চকবাজার অলীখা মসজিদ,প্যারেড কর্ণার হয়ে দিদার মার্কেট,আন্দর কিল্লা,সিটিকর্পোরেশন, চেরাগী পাহাড়,,হাশেম চত্তর,গণি বেকারী মোড়,চট্টগ্রাম কলেজ, আবার অলীখা মসজিদ,পাচলাইশ থানা মোড়, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া জুলুসের মাঠে প্রবেশ করে। এই সময় কয়েক লক্ষ লোকের সমাগমে প্রচণ্ড ভীর জমে জামেয়া ময়দানে।
এখানে শাহজাদা আল্লামা কাশেম শাহ মাূাজিল্লুহুল আলীর ইমামতিতে সবায় যোহরের নামাজ আদায় ককরেন। চট্টগ্রাম মহানগর গাউছিয়া কমিটির সাংগটনিক সম্পাদক সাদেক হোসেন পাপ্পু বলেন প্রশাসন ছাড়াও জুলুসের এই বিশাল মিছিলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ৩০০ আন্জুমান সিকিউরিটি ফোর্স ও গাউছিয়া কমিটির ৩০০০ সেচ্ছা সেবক।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে হাফেজ,ক্বারী আল্লামা তৈয়্যব শাহ মাাদাজিল্লুহুল আলী চট্টগ্রামে এই জুলুসের প্রবর্তন করেন।তখন এটি বলুয়ার দীঘি খানকা থেকে বাহির হতো।প্রথম বারে মাত্র হাজার দুয়েক লোক হলেও বর্তমানে এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এই জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন আল্লামা তৈয়্যব শাহ মাদাজিল্লুহুল আলী।তার পর থেকে আাজ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন আল্লামা তাহের শাহ মাদাজিল্লুহুল আলী। ক্রমাগত লোক সমাগম বেশী হতে থাকায় এবং স্থান সংকুলন না হওয়ায় ১৯৮৬ সাল থেকে জুলুসের কার্যক্রম ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলীয়স মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাশরীপে স্থানান্তর করা হয়েছে।