জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ছাত্রী কর্তৃক এক ছাত্রকে যৌন হয়রানি

বাংলারদর্পন :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৩ ছাত্রী কর্তৃক এক ছাত্রকে যৌন ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ওই ছাত্রীদের সহযোগিতা করে ২ ছেলে শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে নির্যাতিত ছাত্র প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সবাই চারুকলা বিভাগের ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া অভিযোগকারী একই বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্র উল্লেখ করেন, গত ২২ নভেম্বর আমার বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভাগের সামনে থেকে আমাকে পুরাতন কলা ভবনের পেছনে ডেকে নিয়ে আসে। তারা আমার পরিচয় জানা সত্ত্বেও আবারো পরিচয় দিতে বলে। আমি পরিচয় দিতে অস্বীকার করায় তাদের মধ্য থাকা এক মেয়ে ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে আমার শরীরে পানি ঢেলে দেয়।

এসময় তাদের সঙ্গে থাকা অন্য মেয়েরা আমাকে ব্যঙ্গ করতে থাকে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে আমাকে ভীষণভাবে মানসিক চাপে ফেলে। তারা আমাকে পাগল আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। তারা বলে, আমাকে মেরে ফেললে কেউ জানবে না, জানলেও তাদের কিছুই হবে না বলে দাবি করে।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্র আরো উল্লেখ করেন, তারা আমাকে গলা সমান একটি গর্তে নামতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে লাথি মেরে গর্তে ফেলে মাথায় আঘাত করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাই। তারপর আমাকে আবার গর্ত থেকে উঠিয়ে পুনরায় লাথি মারে।

সে আরো উল্লেখ করেছে, এ সময় অভিযুক্তরা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আপত্তিকরভাবে হাতাহাতি করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানেই আমাকে রেখে আসা হয়। পরে বন্ধুরা মিলে আমাকে মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা করায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ছোট ভাই হিসেবে আমরা তাকে শাসন করেছি, নিপীড়ন করিনি। তার চলাফেরা একটু অন্যরকম টাইপের। সে আমাদের বিভাগে পড়ে অন্য বিভাগের পরিচয় দিয়ে আমাদের বিভাগকে ছোট করে দেখে।

এ বিষয়ে চারুকলা বিভাগের সভাপতি এম এম ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ’ তবে তদন্ত ছাড়া তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, এমন একটি অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। তবে এটি নিপীড়ন সম্পর্কিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল’ তদন্ত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *