বাংলারদর্পন :
সিম ব্যবসায় অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যে কোন সহজ সরল সিম ক্রেতার কাছ থেকে কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঠিকমত হয়নি এটি বলে দুই তিনটি ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ী। এই দুই তিনটি ফিঙ্গার-প্রিন্টের বিপরীতে চালু করছেন তিনটি সিম। অথচ তার কাছে বিক্রি করছেন একটিমাত্র সিম। ফলে ঐ ক্রেতার নামেই বাজারে থেকে যাচ্ছে আরো সিম যা অসাধু বিক্রেতা বিক্রি করে দিচ্ছন অন্য ক্রেতার কাছে। ফলে ঐ ক্রেতা আর একজনের নামে রেজিস্টার্ড সিম বিক্রি করছেন। ফলে কোন অপরাধ করলে ফেসে যাবেন যার নামে প্রতারণা করে রেজিস্ট্রেসন করা হয়েছে তিনি।
এ রকম প্রতারণার চিত্র বেরিয়ে পড়ে জেলা প্রশাসনের অভিযানে। এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। আজ ২৬ নভেম্বর ট্রাংক রোডের চৌধুরী প্লাজার তাসনিম টেলিকমে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় সিম ব্যবসায়ী মো: মাইন উদ্দিনকে। ২৫ নভেম্বর রাতে একজন ক্রেতার সাহায্যে তার দোকান থেকে রেজিস্ট্রেসন ছাড়াই সিম ক্রয় করান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ক্রয়কৃত সিমের সাথে রশিদও নেওয়া হয়। মাইন উদ্দিন বলেন, এই সিমটি একটি মহিলার নামে রেজিস্ট্রেসন করা।
এ সময় আটককৃত মো: মাইন উদ্দিনকে ৭(সাত) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, এটি একটি ভয়াবহ প্রতারণা। রেজিস্ট্রেসন একজনের নামে কিন্ত চালাচ্ছে আরেকজন। যার নামে রেজিস্ট্রেসন তিনি হয়তোবা জানেন ই না, তার নামে কোন অপরাধ কর্মকান্ড চলছে কি না।
এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, মোটরযান পরিদর্শক মাহবুব রাব্বানি উপস্থিত ছিলেন।