মেয়র মোস্তফার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ : গৃহবধু সাহেনার সাংবাদিক সম্মেলন -বাংলারদর্পন 

 

বাংলারদর্পন :

আমি একজন অসহায় মহিলা। বর্তমানে আমি সমাজের ভদ্রবেশী কিছু মুখোশধারীদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিনযাপন করছি। এঅবস্থায় আমি আমার বড় ছেলে সৈকত হোসেন (১৪) ও ছোট ছেলে সৌরভ হোসেন (১২) সহ নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে পেললেন জোসনা আক্তার সাহেনা নামীয় এক ভুক্তভোগী অসহায় মহিলা।শনিবার ফেনীর ট্রাংক রোডস্থ অতিথি রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার জিএম একাডেমী পাশ্বস্থ বাসিন্দা জোসনা আক্তার সাহেনা উপরোক্ত অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে জোসনা আক্তার সাহেনা বলেন, আমি গত ৮বছর আগে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে অসহায় দুই সন্তান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করে আসছিলাম। অর্থাভাবে বেঁচে থাকার কোন পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে জীবনের তাগিদে বিদেশ পাড়ি দেই। আমার অবুঝ সন্তানদের রেখে যাই আমার মা-বাবার কাছে। প্রায় ৫ বছর বিদেশে অবস্থান করে চরম কষ্টের মধ্যে কিছু টাকা উপার্যন করে দেশে ফিরে আসি।

এসময় আমার এক আত্মীয় ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মঠুয়া’র অধিবাসী আবদুল হাই ড্রাইভার তার নির্মাণাধীন বাড়ির জন্য ইট কেনার কথা বলে আমার থেকে দুই দপায় তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার নেয়। উক্ত টাকা ১ বছরের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা তিন বছরেও ফেরত না দেওয়ায় আমি ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র জনাব মোহাম্মদ মোস্তফার স্মরণাপর্ণ হই। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন দ্রুত আমার টাকা আদায় করে দিবেন। কিন্তু মেয়র বার বার আমাকে তার দপ্তরে ঢেকে নিয়ে নিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। এমনিভাবে কয়েকবার আমাকে পৌরসভায় মেয়রের পাশের কক্ষে ঢেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির অপচেষ্টা চালায়। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে সে আমার মোবাইলের ইমুতে ফোন করে আমাকে তার নগ্ন শরীর দেখতে অনুরোধ করে। এছাড়া আমাকে গভীর রাত্রে ফোন করে উত্তক্ত করতে থাকে। আমি টাকা পাওয়ার আশায় এসব নিরবে সহ্য করি। পরে আমি আমার ধার দেওয়া টাকা আদায়ের জন্য ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে।

সম্প্রতি মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, ছাগলনাইয়া পৌরসভার প্যানল মেয়র মুন্সী নুর হোসেন ও শহীদ মন্দার সহ কয়েকজনকে আমার বাসায় পাঠায়। তারা আমার অবুঝ সন্তানদের গাড় ছেপে ধরে বলে তোর মা কোথায়? তখন আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম। কিন্তু তারা তা বিশ্বাস না করে আমার বাসা তল্লাসি করে। আমার বড় ছেলে সৈকত হোসেনকে শাসিয়ে বলে তোর মাকে বলবি, পৌর মেয়েরের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে এবং সমযোতা করতে। না হয় তোদের ছাগলনাইয়া বাজারে থাকতে দেয়া হবে না। তোদের তুলে নিয়ে যাবো।জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জোসনা আক্তার শাহেনা ও তার ছেলেদ্বয় কান্না জড়িত কণ্ঠে প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চায়।

এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আমি জোসনা আক্তার সাহেনা কে চিনি না। তিনি আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ করে থাকেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকজন থেকে ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। হয়ত কেউ রাজনৈতিক পয়দা হাসিলের  জন্য উক্ত মহিলাকে আমার বিরুদ্ধে ডাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *