বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের লুটপাটের বহিঃপ্রকাশ – সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ নভেম্বর ২০১৭।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি শুধু অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্তই নয়, এটি ‘ভোটারবিহীন’ সরকারের লুটপাট-নীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের লুটপাটের আরও বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া জানান রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি করা হচ্ছে।

প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে এই সরকার প্রথম বিদ্যুতের দাম বাড়ায়। এবারসহ আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়বে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ। এ কারণে গোটা অর্থনীতিই হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, শিল্প খাতেও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। শিল্প উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বাড়বে। কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার আদালতে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান রিজভী।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *