বাংলারদর্পন ||
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি করতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চও বিব্রত ।রবিবার মামলা শুনানীর শুরুতে তৃতীয় বেঞ্চের বিচারক মজিবুর রহমান বিব্রত বোধের বিষয়টি উভয় পক্ষের আইনজীবিদের অবহিত করেন।
বিধান অনুযায়ী মামলাটির নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে এবং তিনি আরেকটি বেঞ্চ গঠন করে নতুন করে মামলার শুনানীর জন্য নথি পাঠাবেন।
এ রিট মামলাটি বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চে দেয়া হলেও রিট আবেদনকারী ফেনীর যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভুঁইয়া এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। গত ১১ অক্টোবর এ আবেদন দেয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নতুন বেঞ্চ গঠন করেন।
বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। রায়ে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি সংসদ সদস্য পদে থাকা বৈধ ঘোষণা করেন। দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে গত ২ জুলাই দ্বিধাবিভক্ত রায়ের কপি প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেয়া হয়। নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৪ সালে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ওই দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট।