সোনাগাজী প্রতিনিধি :ফেনীর ফুলগাজী উপজেলাস্থ পুরাতন মুন্সির হাট অালী অাজ্জম স্কুল ও কলেজের কথিত কেরানি সোনাগাজীর চিহ্নিত প্রতারক, ভুমিদস্যু, মামলাবাজ ও দেহব্যাবসায়ী অাজিজুল হক অাবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়ে কেরানি পদে চাকুরি হলেও তিনি নিজেকে ইংলিশ শিক্ষক হিসেবে জাহির করে বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। যা ইতিমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ফেনীর বিজ্ঞ অাদালত অবগত অাছেন।
সোনাগাজীর, ছাড়াইতকান্দি, তুলাতুলি, চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন পুর্ব চর ছান্দিয়া, বর্তমানে তুলাতুলি সহ বিভিন্ন স্থানে নিজের স্ত্রী কন্যাসহ বহিরাগতদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা, মাদক ব্যাবসা চালিয়ে অাসছিল। স্থানীয় প্রতিবেশিরা সামাজিক ভাবে বাধা দিতে থাকে। স্থানীয়দের অমান্য করলে পল্লী অাদালত, মডেল থানা, পুলিশ সুপার সর্বশেষ জেলা প্রশাসককে অভিযোগ দেয়। এসব অভিযোগ বার বার প্রমানিত হয়েছে। ক্ষিপ্ত হয়ে অাজিজ ও তার সহযোগীরা বাদি হয়ে স্থানীয়দের নামে নানা অযুহাতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, অাজিজের দায়েরকৃত মামলা, ৩১২/১৪, ৭০৩/১৪ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত এবং বিজ্ঞ অাদালতে নথিভুক্ত হয়েছে। নন জিআর ৮১/১৪ মামলায় ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে বিজ্ঞ অাদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শান্তিভঙ্গ কারী হিসেবে চিহ্নিত করে অাইনজীবির জিম্মায় ১০ হাজার টাকার ১বছর মেয়াদি ভন্ড সম্পাদনের অাদেশ দেন, অন্যথায় হাজতবাস। বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে (সোনাগাজী থানা এসডিআর নং ৫৩৮/১৭) আলী অাহম্মদ কোম্পানীর ছেলে মঞ্জুর মাধ্যমে নিরিহ লোকদের কাছ থেকে চাঁদা অাদায় করে বলে জানিয়েছেন তার বোন মনোয়ারা বেগম পাখি।
তাঁর অাপন ভাই, সৎ ভাই সাহাবুদ্দিন ও বোনদের বিক্রিত ভুমি ক্রয় করেন দঃ পুর্ব চর ছান্দিয়া গ্রামের খায়েজ অাহম্মদ সারেং বাড়ীর প্রবাসী মো. হেলাল উদ্দিন গং। তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
জানা যায়, তদন্তে প্রমাণিত নুর উদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে মুন্সির হাট অালী অাজ্জম স্কুল ও কলেজের সভাপতি শেখ অাবদুল্লাহ এবং প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন কে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।