নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়ার) দেওয়ার আগেই চবি ছাত্রলীগ নেতা, শিক্ষার্থী ও ভর্তিচ্ছুসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত ও সকালে পরীক্ষা শুরু আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, আইইআর ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্থগিত কমিটির সহ-সম্পাদক শহীদুল্লাহ নিশাত (পটিয়া), একই বিভাগের তার সহপাঠী মুহাম্মদ রায়হানুল হক (রাউজান), ভর্তিচ্ছুক মোহাম্মদ ফাহাদ (নোয়াখালী), সাঈদ আল কবীর (টাঙ্গাইল), মুশফিকুর সালেহীন (মানিকগঞ্জ), মিজানুর রহমান (নোয়াখালী) ও মধ্যস্থতাকারী চট্টগ্রাম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. তুহিন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি আবাসিক ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে ভর্তিচ্ছুদের মূল মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন, সরকারি স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাতভর তাদের মোবাইলে আসা ফোন কলের কথোপকথনের মাধ্যমে আজ সকালে বাকি ৪ ভর্তিচ্ছু ও তাদের মধ্যস্থতাকারী তুহিন ধরা পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে প্রতি ভর্তিচ্ছু সঙ্গে ৩-৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। প্রক্সির মাধ্যমে তাদের ভর্তি করিয়ে দিবে শহীদুল্লাহ ও রায়হানুল। আমরা ৭ জনকেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
এদিকে হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, তারা থানায় রয়েছে। তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।