সৈয়দ মনির আহমদঃ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর সাহাভীকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী (১২) কে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রফুল্ল কুমার দাসের ছেলে সুমন দাসের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রী চন্দ্র কুমার সরকার বাড়ীর দিন মজুর রাখাল মজুমদার এর মেয়ে। স্কুল ছাত্রীর মা রিনা রানী জানান, বিয়ের প্রলোভনে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে সুমন অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বসতঘরের পাশে প্রাকৃতিক কাজে বাথরুমে যায়। ফেরার পথে জোরপুর্বক পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় মেয়ের আত্নচিৎকারে পাশের ঘর থেকে কৃঞ্চ চন্দ্রের স্ত্রী অশ্রু রানী বেরিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে সুমন দাস। তার আঘাতে অশ্রু রানীর বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়। এর আগেও কয়েকবার বিভিন্ন প্রলোভনে মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। বিষয়টি মডেল থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি মামলার করার পরামর্শ দিয়েছেন। মেয়ে সুস্থ্য হলে থানায় অভিযোগ দেয়া হবে।
এ দিকে অশ্রুর উপর হামলার ঘটনায় তার স্বামী কৃঞ্চ বাদী হয়ে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ওই মামলায় সোমবার সন্ধায় সুমন গ্রেফতার হয়ে বৃহষ্পতিবার জামিন লাভ করে। কৃঞ্চ জানান, জামিন লাভের পর সুমন বাজারে প্রকাশ্যে তাকে মারধর করে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহীদ মিয়া জানান, সুমনকে গ্রেফতার করতে গেলে তার সহযোগীদের হামলায় এসআই ডালিম সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় এসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে সুমনকে প্রধান আসামী করে মামলা রুজু করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন মানিক জানান,বখাটে সুমন এর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ সত্য । এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি অভিযোগ ছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, গৃহবধুকে মারধর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সুমনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল । ধর্ষনের অভিযোগ পেয়েছি ,তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।