শেখ হাসিনা এখন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী

 

আবদুল মান্নান>>>>

পাশের দেশ মিয়ানমার। এই সময়ে সারা বিশ্বে আলোচিত, সমালোচিত ও নিন্দিত একটি দেশ। কারণ সেখানে বর্তমানে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান চলছে। মূল টার্গেট সে দেশের আরাকান রাজ্যে অষ্টাদশ শতক থেকে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানরা। আর এই গণহত্যায় পৌরোহিত্য করছেন যিনি, তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সে দেশের কাগজে-কলমে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অং সান সু চি। আর এই গণহত্যার শিকার হয়ে যারা প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারছে তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অং সান সু চি আর শেখ হাসিনা, দুজনই নারী। শেখ হাসিনার চেয়ে অং সান সু চির বয়স তিন বছর বেশি। দুজনের মধ্যে বড় মিল, দুজনের বাবাই নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ ছিলেন। শেখ হাসিনার বাবা জাতির জনক হিসেবে পরিচিত। অং সান সু চির বাবা অং সান তাঁর দেশকে স্বাধীন করতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

আর শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করতে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। অং সান মিয়ানমারের স্বাধীনতার আগ মুহূর্তে তাঁর নিজ সেনাবাহিনীর হাতে নিজ দলের সহকর্মীদের সঙ্গে নিহত হন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার বাবা নিজের হাতে গড়া নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হন।

সু চি ভারতে স্কুলজীবন শেষ করে লন্ডনের সোয়াস ও অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করেন। তাঁর মা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং ভারত ও নেপালে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সু চি ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কখনো রাজনীতি করেননি। ইংল্যান্ডে একজন ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করে সে দেশেই বসবাস করছিলেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে মিয়ানমারের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যখন লড়াই করছিলেন তখন সু চি মাকে দেখতে রেঙ্গুন আসেন। এ সময় মিয়ানমারে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু যেকোনো রাজনৈতিক আন্দোলনকে সফল করে তুলতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যা সে দেশের আন্দোলনকারীদের ছিল না। যখন রাজপথের আন্দোলনকারীরা শুনল অং সানের কন্যা সু চি রেঙ্গুনে অবস্থান করছেন তখন তিনজন মাঝারি পর্যায়ের নেতা, যাঁদের মধ্যে কো মাইয়া আইই নামের একজন মুসলমানও ছিলেন, ছুটে গিয়েছিলেন সু চির কাছে আন্দোলনের নেতৃত্ব হাতে তুলে নিতে। প্রথম দিকে সু চি কোনো ধরনের রাজনীতিতে জড়াতে অস্বীকার করেন। কিন্তু মানুষের দাবির মুখে তিনি সে সময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নেতৃত্ব হাতে নিয়ে আন্দোলনের পুরোভাগে চলে আসেন। ১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে। মাঝেমধ্যে সেনা সরকার সু চিকে মুক্তি দিলেও বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১৫ বছর তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সারা বিশ্বের মানুষ সু চির গৃহবন্দির নিন্দা জানিয়ে তাঁর মুক্তি দাবি করে।

মনে পড়ে, সু চির মুক্তি দাবি করে দেশে দেশে স্বাক্ষর অভিযান শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে। বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে এই স্বাক্ষর অভিযানে অংশ নেয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই পোস্টকার্ড বিলি করে এবং তা স্বাক্ষরসহ জাতিসংঘে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে সু চিকে অহিংসার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নিজ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে তখন তিনি গণতন্ত্রের একজন পূজারি হিসেবে নন্দিত হন। মুক্তির পর ২০০৭ সালে তিনি যখন নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করতে যান তখন তিনি তাঁর নোবেল বক্তৃতায় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতি নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁর দেশে সে দেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত নৃশংস গণহত্যার কারণে শান্তিতে নোবেল জয়ী সেই অং সান সু চি বিশ্বে এই সময়ের সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার জননী’ হিসেবে পরিচিত।

শেখ হাসিনা আর সু চির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মিল থাকলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চি নন। সারা বিশ্বে তাঁর পরিচয় অং সান সু চির সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। শেখ হাসিনা কোনো নোবেল লরিয়েট নন। তিনি সাধারণ বাঙালির ঘরে জন্ম নেওয়া একজন মহিলা। বড় হয়েছেন ঢাকা থেকে অনেক দূরে বৃহৎ ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। পড়ালেখা করেছেন এ দেশের সাধারণ স্কুল-কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবা শেখ মুজিব রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও মা ফজিলাতুন্নেছা একেবারেই আটপৌরে গৃহিণী ছিলেন। তিনি আজীবন স্বামীকে রাজনীতি করতে দেখেছেন। শেখ হাসিনা বাবাকে শুধু রাজনীতি করতে দেখেননি, ছাত্রজীবনে নিজে রাজনীতি করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন ঘাতকরা শেখ হাসিনার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে তিনি তখন দেশের বাইরে। বাবার গড়া দল আওয়ামী লীগ অস্তিত্বের সংকটে পড়লে তিনি প্রায় ছয় বছর নির্বাসনে থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন এবং নানা প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও দলকে নতুন জীবন দান করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে। সে সময় শেখ হাসিনার প্রধান পরিচয় ছিল তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। জীবনে সব কিছু হারিয়েছেন বলে তাঁর প্রতি জনগণের এক ধরনের সমবেদনা ছিল।

প্রথম মেয়াদে বঙ্গবন্ধুকন্যার বড় অবদান ছিল পার্বত্য শান্তিচুক্তি করে পাহাড়ে প্রায় দুই দশকের রক্তপাত বন্ধ করা আর ভারতে আশ্রয় নেওয়া কয়েক হাজার চাকমা উপজাতিকে নিজ দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে আনা। এ সময় তিনি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাও শুরু করেন। শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদ অনেকটা ঘর গোছানোতে পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা যে তাঁর আছে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি ধরে নেওয়া হয়েছিল যে ২০০১ সালেও শেখ হাসিনা নির্বাচনে বিজয় লাভ করে আবার সরকার গঠন করবেন। কিন্তু কিছুটা সাংগঠনিক দুর্বলতা আর অনেকটা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কাছে তাঁর দল সেই নির্বাচনে হেরে যায়। দেশভাগের পর থেকে দেখা যায় যখনই কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়, ঠিক তখনই সেই বিজয়কে ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং আওয়ামী লীগ সেই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। অং সান সু চির দল এনএলডি ১৯৯০ সালে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ৮১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হলেও সে দেশের সেনা সরকার তাঁর দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে এবং নির্বাচন বাতিল করে দেয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সু চিকে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে সেনাবাহিনী গৃহবন্দি থেকে মুক্তি দেয়। মুক্ত হয়ে তিনি শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সারা বিশ্বে আবারও নন্দিত হন। ১৯৯৬ সালে কিছুদিন মুক্ত থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর লোকজন সু চির গাড়িবহরে একবার হামলা করে, তবে তাঁর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আর শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য নির্বাসনজীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর থেকেই তাঁর ওপর কমপক্ষে ১৯ বার হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, যার মধ্যে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তাঁকে বহনকারী গাড়িবহরে পুলিশের গুলিবর্ষণে ২৪ জন দলীয় নেতাকর্মী হত্যা আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। শেষের হামলায় দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন জড়িত ছিল এবং সেবারও ২৩ জন দলীয় নেতাকর্মীর জীবনের বিনিময়ে শেখ হাসিনা বেঁচে যান।

প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনা ও অং সান সু চির মধ্যে এত মিল থাকা সত্ত্বেও কেন সময়ের ব্যবধানে সু চি বর্তমানে সারা বিশ্বে এত নিন্দিত এবং শেখ হাসিনা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে ও বিশ্বগণমাধ্যমে এত নন্দিত। এর মূল কারণ হচ্ছে সু চির ক্ষমতার মোহ এবং যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে আপস ও সমঝোতা করা। ২০০১ সালের নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনা কিছু আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আপস করতে রাজি হতেন, তাহলে সেই নির্বাচনে তাঁর পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া তেমন কঠিন হতো না। এর একটি ছিল ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি। ২০০১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সফররত তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখন গ্যাস রপ্তানির বিষয়টি সদ্য বিদায়ী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন ক্ষমতায়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেন তখন শেখ হাসিনা পরিষ্কার জানিয়ে দেন প্রথমে তিনি আগামী ৫০ বছরের বাংলাদেশের চাহিদা পরিমাপ করে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই মুহূর্তেই শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের নির্বাচনে পরাজয়ের পথটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে যখন দেশে ও দেশের বাইরে তুমুল ষড়যন্ত্র চলছে এবং একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করল তারা এই সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করবে না তখন একজন শেখ হাসিনা মাথা উঁচু করে বলতে পেরেছিলেন তিনি দেশের অর্থ দিয়ে এই সেতু বানাবেন। তখন বোঝা গিয়েছিল তিনি ভয়কে জয় করতে শিখেছেন।

অং সান সু চির রাজনৈতিক জীবনটাই আপসে ভরা। তিনি এই আপস করেছেন দীর্ঘ ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকা তাঁর দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে। সেনাবাহিনী সংবিধানে যখন তাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখল তখন সু চি বললেন সমস্যা হবে না। জানাল স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা আর সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের দিতে হবে; সু চি বিনা বাক্যে তা মেনে নিলেন। সংবিধানে সংযোজন করা হলো কোনো ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী যদি বিদেশি হয়, তাহলে তিনি মিয়ানমারের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেন না। সু চি জানিয়ে দিলেন, আপত্তি নেই। সেনাবাহিনী জানিয়ে দিল আরাকান রাজ্যে কয়েক শ বছর ধরে বসবাসরত মুসলমানরা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তাদের বিতাড়ন করতে হবে; সু চি বললেন ঠিক ঠিক। সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে যখন আরাকান রাজ্যে গণহত্যা শুরু করল, সু চি বিশ্বকে সাফ জানিয়ে দিলেন সেনাবাহিনী কোনো গণহত্যা করছে না, শুধু সন্ত্রাস দমন করছে। অথচ তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সারা দুনিয়ার মানুষ জেনে গেল এই গণহত্যার কথা। আর আরাকানের লাখ লাখ বাসিন্দা আশ্রয়প্রার্থী হয়ে যখন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের পাশে মাতৃস্নেহে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিলেন এই নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব এবং এও বললেন তিনি যদি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারেন আর পাঁচ লাখ বাড়তি মানুষকেও খাওয়াতে পারবেন। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন দেশের মানুষ এক বেলা খেয়ে হলেও এই সর্বহারা রোহিঙ্গাদের জন্য এক বেলার হলেও অন্ন জোগাবে।

সাম্প্রতিককালে একজন শেখ হাসিনা দেশ ও নিজের মর্যাদা যে স্তরে নিয়ে গিয়েছেন, এ মুহূর্তে সার্বিক বিচারে এ অঞ্চলে তাঁর সমকক্ষ রাষ্ট্রনায়কসুলভ আচরণ আর কারো কাছে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। অং সান সু চিকে তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন অনেক আগে। অং সান সু চি সে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আপস করে স্টেট কাউন্সেলর নামের এক ব্যতিক্রমধর্মী পদ অলংকৃত করে আছেন; যদিও ক্ষমতার বাঁশিটি সেনাবাহিনীর হাতে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকেন বা না থাকেন, তিনি মাথা উঁচু করে দেশের মানুষের সঙ্গে সব সময় ছিলেন। এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনা। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনার পর কে?

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *