ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর ছবি পাঠালো, তা দেখে দুই বোন কেঁদেছি

 

ঢাকা: পদ্মাসেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাজ করতে এসেছি। দুর্নীতি করতে নয়। প্রথমে অপপ্রচার শুরু করে। তা দেশে এবং বিদেশেও। পরে অর্থায়নও বন্ধ করা হয়। তবুও থেমে থাকিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শত বাধার মুখে আমি বলেছিলাম, নিজেরাই করবো। তাতে দেশে-বিদেশে বাঙালিরা সবাই বলেছেন, আপা আপনি করেন যা যা লাগে তাই দিয়ে পাশে আছি আমরা। এই যে মানুষের ভালোবাসা, মানুষের আস্থা অর্জন এটাই একজন রাজনীতিবিদের জন্য অর্জন। ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করি না, অপবাদ মাথায় নেবো কেন! কাজ করে দেখাচ্ছি।

গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে শরিয়তপুর জাজিরা নাউডোবা অংশে ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারে স্প্যান বসানো হয়েছে।

স্প্যানের কাজ শেষ করেই ওবায়দুল কাদের ম্যাসেজ দেন এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। স্থানীয় সময় রাত ৩টায় মেসেজ এলো। জানলাম স্প্যান বসানো হয়েছে। জেগেই রয়েছি; বললাম ছবি পাঠাও। ওবায়দুল কাদের ছবি ও ভিডিও দুটাও পাঠালেন। সেগুলো দেখে দুই বোন (শেখ রেহানা) সেখানে কেঁদেছি। অনেক অপমানের জবাব আমরা দিতে পারলাম, এটাই সব থেকে বড় অর্জন।

এছাড়া অনেক উন্নত দেশ যা পারেনি, বাংলাদেশ তা করে দেখিয়েছে বলেও মত দেন তিনি। বলেন, পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ সহজ কথা নয়। অনেক স্রোত নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ, সেই দুর্যোগ মাথায় নিয়েও এগোচ্ছি।

গভীর কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করেন শেখ হাসিনা।

অনেকেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে, বাংলাদেশ খুলেছে বিমানবন্দরে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী। 

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আগে থেকেই সমস্যায় ভুগছিলাম। বেশি ব্যথা অনুভব করায় সেখানে অপারেশন হয়। ৭১ বছর বয়স, সুস্থ হয়ে উঠতে সময় একটু লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *