মো: আব্দুর রহিম বাবলু, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নবগঠিত বটতলী ইউপির বটতলী বাজার সামছুল হক প্রাইভেট হাসপাতাল গত দেড় মাস আগে উদ্ভোধন হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢালুয়া ইউপির ধুপাড়চর গ্রামের এক কিশোরীকে রাত বর আটক করে ওই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় ঘটনাটি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
সূত্রে জানায়, কাশিপুর গ্রামের রফিকের ছেলে সাদ্দাম ও হাসপাতালের কর্মচারী রনি গংরা মিলে কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে।
সরেজমিনে গিয়ে কিশোরীটির সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২ মাস আগে মোবাইলে সাদ্দামের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মন্নারা সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্কুলের বিরতির সময় ছেলেটি ফুসলিয়ে তাঁকে সিএনজি যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। রাতে সামছুল হক প্রাইভেট হাসপাতাল একটি কক্ষে আটক করে ধর্ষনের চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরীটিকে গণধর্ষন করা হয়েছে। এখানে প্রায় সময় অনৈতিক কর্মকান্ড কান্ড হওয়ার গুনজন ওঠেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, সাংবাদিক পরিচয় পেলে সে মুঠো ফোনের লাইন কেটে দেন।
বটতলী সামছুল হক প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার আবুল হাশেম জানান, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। অভিযুক্ত ব্যাক্তিদেরকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ঢাকায় নিয়ে গেছে।
হাসপাতালটির কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান সামছুল হককে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, দুই, তিনটি পত্রিকার পৃষ্ঠপোশকতা করি। অনেক সাংবাদিক তার অফিসে আসে। প্রেসক্লাব সেক্রেটারী তার লোক।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি তদন্ত আশ্রাফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।