চালের অবৈধ মজুতদারদের ধরতে দেশজুড়ে অভিযান – banglardarpan.com

 বাংলার দর্পন 

অনলাইন ডেস্ক – ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১৭:১০।

অবৈধভাবে চাল মজুতদারদের ধরতে সারাদেশে সব চালের গুদামে অভিযান চালানো হবে। অতিরিক্ত মজুত রাখলে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অবৈধ মজুতদারদের ধরতে সব চালের গুদামে অভিযান চালানো হবে। অতিরিক্ত মজুদ রাখলে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা সিন্ডিকেট করে বাজারে চাল সংকটের গুজব ছড়িয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠকে তাত্ক্ষণিকভাবে অবৈধভাবে চাল মজুতের অভিযোগে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি-এসপিদের এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রীও এক সংবাদ সম্মেলনে চালের বাজারে অস্থিরতার পেছনে অবৈধ মজুতদার, আড়তদার, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বলেছেন, চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়ে যাবে। এটা হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। চাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, অবৈধভাবে চাল মজুত করার পাশাপাশি নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে একটি সিন্ডিকেট চালের দাম বাড়াচ্ছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে রাজধানীর খুচরাবাজারে ৫০ টাকা কেজির নীচে মোটা চাল ( ইরি, গুটি স্বর্ণা) নেই বললেই চলে। আর ভালো মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বিআর-আটাশ ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিন্ম-মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *