রাম রহিমের এক মরিচ হাজার রুপি !

 

বাংলার দর্পন ডটকম >>>>

একটি কাঁচা মরিচ কত রুপি খরচ করে কিনবেন—এমন প্রশ্নের উত্তর আসবে হয়তো, একটি মরিচ বিক্রি করবে কে? হ্যাঁ, একটি মরিচও বিক্রি হয়, তাও আবার হাজার রুপি দামে। দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং ভক্তদের কাছে একটি কাঁচা মরিচ এক হাজার রুপিতে বিক্রি করতেন। শুধু মরিচ নয়, মটরশুঁটি, বেগুন, পেঁপেও প্রায় এমন দামে বিক্রি করতেন তিনি।

হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় রাম রহিম সবজি চাষ করতেন। আর সেই সবজি প্রায় সোনার দামে ভক্তদের কাছে বিক্রি করতেন। ভারতীয় নিউজ চ্যানেল এবিপি নিউজে এ কথা জানানো হয়। এবিপিতে প্রচারিত সংবাদের একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রাম রহিমের ডেরার ভেতরে বিশাল বাগান। সেই বাগানে সবজির চাষ করতেন রাম রহিম। জমি চাষ, মই দেওয়াসহ সবজিখেতের পরিচর্যা অন্যদের সঙ্গে নিয়ে তিনি নিজেই করতেন। আর ওই সবজি চড়া মূল্যে ভক্তদের কাছে বিক্রি করতেন তিনি।

ওই ভিডিওচিত্রে বলা হয়, রাম রহিম তাঁর ভক্তদের বলতেন, ডেরার বাগানের সবজি হলো ‘ঈশ্বরের প্রসাদ’। ভক্তরাও তা বিশ্বাস করতেন। আর এই সুযোগেই সোনার দামে তাঁদের কাছে সবজি বেচতেন রাম রহিম। ডেরার ভেতর একটি কাঁচা মরিচের বিক্রি হতো এক হাজার রুপিতে। মটরশুঁটির ১০টি দানার মূল্য দুই হাজার রুপি, একটি ছোট্ট বেগুন এক হাজার রুপি। এ ছাড়া বেগুনের আকার বড় হলেই দ্বিগুণ হারে দাম বেড়ে যেত। একটি পেঁপে পাঁচ হাজার আর দুটি টমেটো দুই হাজার রুপিতে বিক্রি হতো। ডেরার বিশ্বস্ত এক ভক্তকে দিয়ে অন্য ভক্তদের বাড়ি বাড়ি ওই সবজি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতেন রাম রহিম। মাসে দুবার এই সবজি ভক্তদের কাছে সরবরাহ করা হতো। ভক্তরা ডেরার বাগানের মটরশুঁটির একটি দানা কিনতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করতেন। ‘ঈশ্বরের প্রসাদ’ মনে করে সব ভক্তই ওই সবজি কিনতেন। আর এভাবে ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখো অর্থ হাতিয়ে নিতেন রাম রহিম।

গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেওয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *