৩০০ সাংসদ ও তৃনমুলের খবর অা’লীগ সভানেত্রীর জানা অাছে

বাংলার দর্পন ডটকম >>>

গণভবনে দলীয় এক অনুষ্ঠান শেষ করে সভাকক্ষ থেকে বেরুলেন প্রধানমন্ত্রী। দরজার সামনে দাড়ানো কয়েকজন নারী নেত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দিলেন। প্রধানমন্ত্রীও হাসিমুখে সালামের উত্তর দিলেন। এরমধ্যে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর নজর পড়ল, ঢাকার এক সংরক্ষিত এমপির দিকে। প্রধানমন্ত্রী দাঁড়ালেন বললেন, ‘তুমি এলাকায় শুধু গণ্ডগোল পাকাও কেন? ওখানে জলাবদ্ধতা, মানুষের জন্য কোনো কাজ নাই, খালি ‘গ্রুপিং’। নারী এমপি আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বলতে চাইলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ’আমার কাছে সব খবর আছে। নাম কেটে দেব।’

হ্যাঁ, সব খবর এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ৩০০ আসনে ভোট পরিস্থিতি, জনমত জরিপ, এমপিদের জনপ্রিয়তা, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিস্তারিত প্রতিবেদন এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির টেবিলে। তিনটি সংস্থা, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এবং দুটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট মূল্যায়ন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করেছে শেখ হাসিনার নিজস্ব টিম। এই রিপোর্টে বর্তমান এমপিদের ভেতর মাত্র ১০০ জনকে আগামী নির্বাচনের জন্য যুতসই মনে করা হচ্ছে। আর ১০০ এমপির জনপ্রিয়তা তলানীতে। এদের অনেকের এলাকাই যাবারই পরিস্থিতি নেই। প্রতিবেদন অনুযায়ী এরা ‘ কালো তালিকায়’। এদের কোনো ভাবেই মনোনয়ন দেওয়া সঠিক হবে না। বাকী ১০০ এমপির অবস্থাও টলটলায়মান। তাঁদের এলাকায় জনপ্রিয়তা  কমেছে, কিন্তু অন্ত:কলহ প্রবল। কমবেশি ২০০ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের ইঙ্গিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে । সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যে দলীয় কোন্দলকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য দলীয় কোন্দল মেটাতে নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। মাদারীপুরের এক এমপিকে ডেকে বলেছিলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে। সিরাজগঞ্জের এক ডাকসাইটে মন্ত্রীর কাছে বার্তা গেছে, এলাকার কোন্দল বন্ধ করতে। বগুড়ার নেতাদের শেখ হাসিনা নিজে ফোন করে তুফানের মতো লোকদের দল থেকে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।

একমাসের কার্যক্রমে লক্ষণীয় শেখ হাসিনা পরিচ্ছন্ন নতুন মুখ খুঁজছেন বেশি। তরুণদের ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ লক্ষণীয়। একটি শিল্প গ্রুপের পরিচ্ছন্ন ইমেজের তরুণের সঙ্গে কথা হয়েছে। যিনি দেশের বাইরে থেকে লেখাপড়া করে বাবার ব্যবসার হাল ধরেছেন। জনপ্রিয় সিনেমা অভিনেতা, অভিনেত্রী, মেধাবী তরুণ আইনজীবী, শিক্ষক – এদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় ডেকে ডেকে কথা বলছেন। কয়েকজনকে এলাকায় কাজ করতেও বলেছেন। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ১০০ জন ‘সাদা’ প্রার্থী খুঁজছেন শেখ হাসিনা। যাদের কোনো রকম খারাপ ইমেজ নেই। পাশাপাশি দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করছেন এমন তরুণদের ব্যাপারেও তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে দলের অন্তত ১০০ জন আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হবার নিশ্চিত সংকেত পেয়েছেন। তারা এলাকায় কাজ করছেন। এসব এলাকার দলীয় কোন্দল মেটাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদককে। এবার হয়তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীতাই হবে বড় চমক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *