ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা সমন্বয়ে ফেনী-১ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। গত নির্বাচনে জাসদকে ছেড়ে দিলেও এবার শাসক দল আসনটি ছাড়তে নারাজ। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ হচ্ছে, উন্নয়ন কর্মকান্ডে বর্তমান এমপি জাসদ নেন্ত্রী সরকার দলের নেতাদের তেমন সম্পৃক্ত করেননি। বিএনপি নেতাকর্মীরাও বলছেন, গত অষ্টম ও নবম সংসদ সংসদ নির্বাচনে আসনটি বিএনপির ছিলো এবার তারা আসন ধরে রাখতে চান। এদিকে জাতীয় পার্টি এবার আসনটি নিজেদের কব্জায় রাখতে কেন্দ্রিয় নেত্রীকে মাঠে নামিয়েছেন। বর্তমান এমপি শিরিন আক্তার ছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের নেতা শিল্পপতি এম আবদুল্যাহ,পরশুরাম আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল,ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল,জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খায়বুল বাশার তপন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির নাজমা অাক্তার, আবু তালেব এবার মনোনয়ন পাওয়ায় দৌড়ে রয়েছেন।
জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে কেবল আওয়ামীলীগ নয় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের হাইকমান্ডের পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন স্থানীয় নানা দলীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে। এদিক থেকে এগিয়ে আছেন শাসক দলের প্রার্থী এম আবদুল্যাহ। তিনি নিয়মিত সাপ্তেহে দুই দিন (শুক্র-শনি) দলীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তরুন প্রবীন ভোটারদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়ান। সরকার দলের প্রার্থী বেশি থাকায় নানা মেরুকরণ শুরু হওয়ায় দলের মধ্যে বিভক্তিও ফুটে উঠছে। নানা কায়দায় দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করারও একটা রেওয়াজ রয়েছে শাসক দলের মধ্যে। বিভক্তি দূর করতে না পারলে আগামী নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়ায় শঙ্কায় অনেকেই।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাসদকে ছেড়ে দেয়। ফলে ফেনী-১ থেকে এমপি নির্বাচিত হন শিরিন আক্তার। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পরও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল বাশার তপন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয়। এবার তিনি শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার দৌড়ের শির্ষে রয়েছেন এম আবদুল্যাহ। মাঠ পর্যায়ে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করে ব্যাপক অালোচনায় অাছেন ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী।