ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক সম্রাট মো: জুয়েল পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোনাগাজী পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, অামিরাবাদ ইউনিয়ন সহ উপজেলার সর্বত্র মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে সদর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বেলাল হত্যার মামলা অাদালতে বিচারাধীন। সে সদর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের ছকিদার বাড়ীর হাফেজ অাহম্মদের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের সক্রীয় কর্মী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারী মনগাজী বাজারে যুবলীগ নেতা বেলালকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘদিন ধরে সুজাপুর, মনগাজী, ছাড়াইতকান্দি, শাহাপুর, বেঁড়িবাধ, বগাদানার তাকিয়া বাজার এলাকায় মাদকের অাখড়া তৈরী করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিলারদের মাধ্যমে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। ইতিপুর্বে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত একাধিক মাদক বিক্রেতা তার বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।,
এছাড়া উপজেলায় ডাকাত সিন্ডিকেট তৈরী করে উপজেলার সর্বত্র ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সদর ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ী সহ কয়েকটি বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
নিহত যুবলীগ নেতা বেলালের বড়ভাই অালমগীর জানান ,জুয়েল ভাড়াটে খুনি। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার ভাই বেলালকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও বোমা মেরে হত্যা করেছিল। ২০০৫ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগীতায় সে এ অঞ্চলে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সামছুল অারেফিন জানান, জুয়েল এ অঞ্চলে মাদক সম্রাট ও ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার সে, তার মা, বোন নাজমা অাক্তার, ভাই সোহাগ মাদক সহ গ্রেফতার হয়েছিল।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রন অাইনে একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত অাছে।
সম্পাদনা / এমএ…