ঢাকা: স্বপ্ন দেখার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা হয়তো সংবিধানে নেই। কিন্তু সংবিধানটাও স্বপ্নের আদলে সজ্জিত। তাই স্বপ্ন দেখায় বাধা দেয়া যাবে না কিংবা স্বপ্ন দেখার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘স্বপ্ন সাজাই’ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ: অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছিলেন তার বাস্তবায়ন আজ হচ্ছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই সবার স্বপ্ন দেখা উচিত। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে যারা পাস করেছে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে। নইলে তারা বিপদগামী হয়ে যাবে। আর তরুণ প্রজন্ম বিপদগামী হলে দেশের ধ্বংস অনিবার্য। এছাড়া উদ্ভাবনী চিন্তাধারা তরুণদের মধ্যেই থাকে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা স্বপ্ন দেখতে বাধা দিয়েছিল বলে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ’৭১ এর আগে থেকেই পাক হানাদাররা আমাদের স্বপ্ন দেখায় বাধা দিয়েছিল। স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই জাতির পিতা বলা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। স্বার্থক ও সফলতার পেছনে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিই মূল। আর এ ইচ্ছাশক্তি সৃষ্টি হয় স্বপ্ন থেকে।
প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে তিনি আরও বলেন, সব কিছুরই ভালো খারাপ দিক আছে। প্রযুক্তিরও ভালো দিক আর খারাপ দিক আছে। প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণের জন্য। তাই আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে হবে প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকটাকে নিয়ে। প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদেরকে আরও সতর্ক হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ‘স্বপ্ন সাজাই’-এর সভাপতির রোকেয়া প্রাচীর সভাপতিত্বে গোল টেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ৭১ টেলিভিশনের বার্তা পরিচালক ইশতিয়াক রেজা, লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী সুভাষ সিংহ রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব চঞ্চল রায়, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবু সাঈদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সেটাই যেটা বাংলাদেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে। তা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষকদের চেয়ে শিক্ষার্থীরাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে পারে। কারণ উন্নত জাতি গঠনে বা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তরুণরাই সবসময় অগ্রগামী থাকে। বাংলাদেশের তরুণরাও এ কাজে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে বলেই ডিজিটাল বাংলার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন ও দেশবাসীকে দেখিয়েছেন।
এ সময় বক্তারা প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন পোগ্রামের সহ-সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের পথে অগ্রগতি, এ যাবতকালের সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।