নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোনাগাজী উপজেলার পালগিরি গ্রামে ১৭ বছর অাগের ছাপ কবলায় খরিদা জমিতে ভুমিদস্যু কতৃক অবৈধভাবে ভুয়া হেবানামা ও বন্টননামা সৃজন করে জোরপুর্বক বেদখলের চেষ্টা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও অব্যহত প্রান নাশের হুমকির কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অালেয়া বেগম ও তার স্বামী হাফেজ অাহম্মদ।
গত ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুমিদস্যুদের অব্যহত অত্যাচার নির্যাতনের বর্ননা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই দম্পত্তি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, উত্তর চর সাহাভিকারি গ্রামের হাছিনা বেগমের পিতা অাবদুল বারেক ১৯৯৫ সালে ৭২৯০ নং ছাপ কবলায় ২৪০ নং পালগিরি মৌজার সিএস ২৯৭ খতিয়ানের ২৩৫ দাগে (যাহা বিএস ১০৩১ খতিয়ানের ৫২৫দাগ) ৩০ শতক নাল জমি অালেয়া বেগমের নিকট বিক্রি করেন।
খরিদা সুত্রে মালিক – দখলকার হয়ে অাংশিক জমিতে মৎস্য প্রকল্প করে এবং অাংশিক জমিতে ভিটি তৈরী করে ও পুকুর পাড়ে গাছ পালা লাগিয়ে যথারীতি তারা ভোগ দখলে অাছেন।
তিনি অারো বলেন, উত্তর চর সাহাভিকারি গ্রামের হাছিনা বেগম, অাহসান উল্যাহ, দেলোয়ার হোসেন এবং পালগিরি গ্রামের মোঃ মোস্তফা, অাবুল হোসেন, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, অাবুল বসর, এমরান হোসেন ও জাহাঙ্গীর অালম (গং) পরষ্পর ঘনিষ্ট অাত্বীয় স্বজন হওয়ায় অামাকে নিরিহ পেয়ে কয়েকদফা জোর খাটিয়ে জমি দখলে ব্যার্থ হয়ে অপকৌশল গ্রহন করে।তারা ১৯৯৫ সালে আমাকে ছাপ কবলাদাতা অাবদুল বারেককে অাবার দাতা সাজিয়ে হাছিনা বেগমকে গ্রহীতা সাজিয়ে ওই জমি হস্তান্তর এর নাটক করে ৩/০১/১২ তারিখে ১০৪ নং ভুয়া হেবানামা সৃষ্টি করে। মাত্র ৫ দিন পরে ৮/০১/১২ তারিখে ভুয়া হেবানামার গ্রহীতা হাছিনা নাটকীয় ভাবে তার স্বামীর ইব্রাহীমের বরাবরে ১১৯ নং হেবানামা সম্পাদন করেন।
মো. ইব্রাহীম অসৎ উদ্দেশ্যে একই তারিখে,মো. মোস্তফা, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন ও অাবুল হোসেন কে পক্ষ করে ১৩৫ নং বন্টননামা দলিল সৃজন করে।
১৭ বছর অাগে ছাপ কবলা মুলে বিক্রিত জমিতে হটাৎ এতগুলো ভুয়া দলিল সৃজন করে ভুমিদস্যুরা অামাকে বেদখল করার জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
অামি নিরুপায় হয়ে ভুমিদস্যুদের সৃজিত ভুয়া দলিল গুলি বাতিলের জন্য অাদালতে দেওয়ানি ১৫/২০১৫ নং মোকদ্দমা করি।উক্ত দেওয়ানি মোকদ্দমায় বিজ্ঞ অাদালত এই মর্মে নিষেধাজ্ঞার অাদেশ জারি করেন যে, “চুড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাদিকে বেদখল করা কিংবা নতুন কোন দলিল সৃজন করা হইতে বিবাদিগণকে অন্তর্বতী কালিন নিষেধাজ্ঞার অাদেশ দ্বারা বারিত করা হইল”। অাদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় ভুমিদস্যুরা অনধিকার প্রবেশ করে পিলার ভেঙ্গে তার কাটা লুট করে নিলে অামি নন জিআর ১৮/১৫ নং মামলা করি।অাবার অামাদেরকে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করায় জিআর ৯৩/১৫ নং মামলা করি।যাহা অাদালতে বিচারাধীন অাছে।
সংবাদ সম্মেলনে অালেয়া বেগমের স্বামী হাফেজ অাহম্মদ বলেন, প্রতিপক্ষরা অামাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করতে কেহ বাদি সেজে অাবার কেহ স্বাক্ষী সেজে পিটিশন মামলা নং ২২৬/১৫ (পরবর্তিতে মিস মামলা নং ১৪৩) এবং জিআর ৯১/১৫ নং মামলা দায়ের করেন।আমরা এসব মিথ্যা মামলায় অাদালত হইতে জামিনে অাছি।ভুমিদস্যুরা বর্তমানে হুমকি দিতেছে যে উক্ত ৩০ শতক সম্পত্তি যেকোন মুল্যে জবরদখল করে নিবে। প্রয়োজনে অামাকে ও অামার স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে লাশ ঘু করে পেলবে। অামার বাড়ি ঘর অাগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে। অাবারো কেহ বাদি কেহ সাক্ষী সেজে হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা দিবে। ভুমিদস্যুদের ধারাবাহিক অত্যাচার ও নির্যাতনে অামরা শারিরিক মানষিক ও অার্থিক ভাবে অপুরনীয় ক্ষতির শিকার হয়েছি।
ভুমিদস্যুদের অব্যহত জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় পরিবার।