আব্দুর রহিম,খাগড়াছড়ি সংবাদাতা-
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পলাশপুর জোনের তত্বাবধানে মিফতাহুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন,জৈনক আব্দুল হাই। মাদ্রাসার পরিসর বৃদ্ধির সাথে সাথে আব্দুল হাই এটিকে ব্যক্তিগত রুটিরুজির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। সাথে যোগ দেয় স্থানীয় সুবিধাভোগী অনেকে।
আব্দুল হাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় তার অশিক্ষিত স্ত্রী, কন্যা, জামাই, ভায়রার মেয়ে এবং শ্যালক (শিশুদের নিপিড়নকারী) যাদের কারোরই শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সনদ নাই। কেউ এর প্রতিবাদ করলেই তাকেই বহিষ্কার করা হয়। প্রতিবাদ করায় সদ্য বহিষ্কার করা হয় মোঃনুরুজ্জামান নামে এক শিক্ষককে।
দান খয়রাতের সাহায্যে এতিম মেয়েদের না খাইয়ে তাদের দিয়ে রান্না করিয়ে আব্দুল হাই ও তার ৯ সদস্যের পরিবার কিভাবে দিনের পর দিন ভোগ বিলাসিতায় লিপ্ত থেকে সম্পদশালী হয়ে উঠেছে তা প্রকাশিত হচ্ছে স্থানীয়দের ক্ষোভে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক এক জোন কমান্ডার যিনি মাদ্রাসাটি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং এখনো বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আ: হাই এবং তার পরিবার এর ভূমিকায়।
ইতিমধ্যে আব্দুল হাই পলাশপুরে ৫ লাখ টাকার জমি কিনেছেন বরে স্থানীয় সুত্রে নিশ্চিত করেছে। বলতে গেলে এতিমখানাকে পুজি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন আব্দুল হাই।