সৈয়দ মনির অাহমদ>>>
কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারনে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ১নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের অসহায় অতি দরিদ্র দলিত সম্প্রদায়ের ২৬ পরিবারসহ মোট ৩৫ পরিবারের দুর্ভোগ চরমে।
মজলিশপুর গ্রামে জেলেপাড়ায় দলিত সম্প্রদায় ও মুসলিম সহ ৩৫ পরিবারে প্রায় ১শ জনের বসবাস। গত প্রায় তিনমাস যাবত পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে ওই পরিবারের অসহায় মানুষগুলো। জানা যায়, ওই গ্রামের পানি চলাচলের একমাত্র কার্লভাটটি মাঝপথে অাটকে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুকি। এতে পানি নিষ্কাশনের সকল পথ বন্ধ হওয়ায় বাড়ী,ঘর, চলাচলের পথ পানির নিচে হওয়ায় এই অসহায় মানুষগুলোর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উক্ত এলাকার একমাত্র জেলেপাড়াটি গ্রীষ্মের চরম রোদ্রের মধ্যেও তারা যেন একটা দ্বীপে বসবাস করছে। কালবৈশাখী, মোরা ঘুর্নিঝড়ের সাথে অতিসম্প্রতি যুক্ত হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে তাদের ন্যূনতম থাকার জায়গাটুকু পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে তাদের চরম দরিদ্রতার সাথে যুক্ত হল প্রকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। তাদের এই চরম দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই।
ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠি সমাজের পিছিয়ে পড়া নিরক্ষর দলিত সম্প্রদায়ের বিধায় তাদের নাগরিক অধিকার সম্পর্কে তারা অসচেতন। এই দুর্ভোগের সমাধান কার কাছে তা তাদের জানা নেই। গত আড়াই মাস পুর্বে বারবার স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট ধর্না দিয়েও কোন আশু সমাধান না পেয়ে বরং চলমান বর্ষায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

ইতিমধ্যে তারা খাদ্য, বাসস্থানের অভাবসহ চরম স্বাস্থ্যঝুকিতে রয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী গোলাম রসুল বাংলার দর্পন কে জানান, ডায়রিয়া, বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, স্ক্যাবিশ রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারা। স্বাস্থ্যবিভাগের দেওয়া কিছু স্বাস্থ্যসেবা জরুরী ঔষুধ ছাড়া সরকারি বেসরকারি কোন সেবা মিলছেনা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, তাদের দুর্ভোগ সহ্য করার মত নয়। বার বার নোটিশ করার পরও মাস্টার ফারুক অামাদের কথায় কর্নপাত করেনি। অামি জেলে সম্প্রদায়কে প্রশাসনের সহযোগীতা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বাংলার দর্পন কে বলেন, এটা বড় ধরনের দুর্ভোগ। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিবেন বলেন জানান তিনি।