প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি এবং ব্যাংক হিসাবে উৎসে কর জনগনকে ব্যাংক বিমুখ করবে!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি- 
দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি প্রস্তাবিত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ঘোষিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ৪লক্ষ ২৬৬ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যোগান দিবে ২লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৬২ শতাংশ। এনবিআরের আয় হচ্ছে আমদানী শুল্ক, আয়কর, ভ্যাট, মুসক ইত্যাদি। আমাদানী পণ্যের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ট্যাক্স ভোক্তাদের ঘাড়েই পড়ে, একই ভাবে ভ্যাটের যোগান সাধারন ভোক্তারাই যোগান দেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হলেও বাজেট ঘোষনার পর দিন থেকেই বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাজেটে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন গ্রুপের জন্য বিভিন্ন ধরনের নগদ সহায়তা ও ভুর্তকি, শুল্ক হ্রাসসহ প্রণোদনার প্রস্তাব করা হলেও সাধারন ভোক্তাদের জন্য কোন প্রণোদনা রাখা হয়নি। বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন সাধারন জনগনের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের পরিধি যেভাবে বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারন জনগনের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে ব্যাংক হিসাবের উপর উৎসে কর ও আবগারী শুল্ক আরোপ করায় সাধারন মানুষ ব্যাংক বিমুখ হবে এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স ও আর্থিক লেনদেনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। ঢালাও ভাবে সম্পুরক শুল্ক বহাল থাকায় দেশীয় শিল্প সুরক্ষা কমার আশংকা এবং যে সমস্ত পণ্য দেশে উৎপাদিত হয় না এবং যে সব শিল্প উৎপাদনে দেশীয় দক্ষতা অর্জিত হয়নি, তাদের সুরক্ষা দিতে সম্পুরক শুল্প আরোপ ভোক্তা স্বার্থ পরিপন্থি। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলির জন্য অনিয়মের সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার না করে বিশাল বরাদ্দ রাখা জনগনের করের টাকার অস্বচ্ছ ব্যবহার বলে রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মাঝে সুশাসন যেরকম প্রতিষ্ঠা জরুরী তেমনি ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। দীর্ঘদিন জ্বালানী তেলের দাম সমন্বয় না করে সরকার অন্যায্য ব্যবসা প্রসারে উৎসাহিত করে যাচ্ছে, যার কারনে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও বিশাল আকারের ঘাটতি বাজেট হওয়ায় বাজেটে অর্থ সংস্থানে সরকারের বিপুল পরিমান ব্যাংক ঋন গ্রহন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মতপ্রকাশ করা হয়। অধিকন্তু বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর বিশেষ করে উৎসে কর কর্তন, সম্পুরক শুল্ক, মুসক, আবগারী শুল্ক এর পরিধি বাড়ানো সাধারন ভোক্তাদের জন্য আতংকের কারন হবে এবং সাধারন ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্প্রসারন ও টিসিবিকে কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয় নি, ভোক্তাদের জন্য শিক্ষা ও সচেতনতামুলক খাতে কোন বরাদ্দ না থাকা, বাজেট ঘোষনার পর পরই সম্পুরক শুল্ক আদায় শুরু হওয়া, কৃষি, শিক্ষা, জ্বালানী খাতে ভুর্তকি হ্রাস, এনর্জি সেভিং বাল্ব, গ্যাস সিলিন্ডার, গণ পরিবহন, আয় করের সীমা ৩.৫ লক্ষ টাকায় না করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানী খাতে বরাদ্দ কমানো, কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বহাল এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন ভাবে নগদ সহায়তা, প্রনোদনা, ভুর্তকি প্রদান ও প্রচুর শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বাজেটটি ভোক্তা বান্ধব না হয়ে ব্যবসায়ী বান্ধব হওয়ায় এ বাজেট সাধারন ভোক্তাদের হতাশ করেছে। বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধার বিধান রাখা হয়েছে তার অন্ততঃ কিছুটা হলেও ব্যবসা-বানিজ্য ও শিল্প কলকারখানায় নিয়োজিত শ্রমজীবি ও নিন্ম আয়ের সাধারন ভোক্তারা যেন পায় সে বিষয়ে দিক নিদের্শনা দরকার ছিল। অন্যদিকে দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি রোধে সাধারন মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি দরিদ্র ও নিন্মমধ্যবিত্তদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতা বৃদ্ধি, টিসিবিকে শক্তিশালী ও জোরদার করার বিষয়টি বরাবরের মতো উপেক্ষিত থাকা, কৃষি উৎপাদন, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাত, স্বাস্থ্য খাতে সুবিধা বাড়ানো, শহরের নিন্ম আয়ের জনগোষ্ঠির জন্য আবাসন সুবিধা, রেল ও গণপরিবহন খাতে আরও অধিক বরাদ্দ প্রয়োজন ছিল। প্রস্তাবিত বাজেট কালো সাদা করার বিধান রাখার প্রক্রিায়াকে নেতিবাচক বলে মত প্রকাশ করে বলা হয়, এর কারনে স্বাভাবিক কর আদায় প্রক্রিয়া শ্লথ হবে। যা অসাধু ব্যবসায়ী ও কর ফাঁকিবাজদের আরও অপকর্মে উৎসাহিত করবে। এছাড়াও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর মুল্যসংযোজন করের আওতা বৃদ্ধিকে হতাশাজনক বলে দাবী করে বলা হয় ভ্যাটের টাকা কোন সময় ব্যবসায়ীরা যথাযথ ভাবে পরিশোধ করে না বরং মুসকের টাকা ভোক্তাদের থেকে আদায় করে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে নিজেদের পকেটে ভারী করে। পরোক্ষ কর হিসাবে ভ্যাট-ট্যাক্স যা-ই ধরা হবে সব গিয়ে পড়বে ভোক্তার পকেটে। আর কর ফাঁকিবাজ ব্যবসায়ীরা কর বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে নিজেদের পোয়াবারো হবে। অন্যদিকে চট্টগ্রামকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর, বানিজ্যিক রাজধানী ও অর্থনীতির প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা না করে শুধুমাত্র একটি জেলা বিচেনায় চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ বরাদ্দ না থাকায় চট্টগ্রামবাসীকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। চট্টগ্রামে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিতরন লাইনে সংকটের কারনে শিল্প, ব্যবসা বানিজ্য ও গৃহস্থলির স্বাভাবিক কার্যক্রম ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হলেও কর্নফুলী গ্যাস কোম্পানীর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রো চালু ও রেললাইনের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় জাতীয় অর্থনীতি এবং শিল্পায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মত প্রকাশ করেন। এদিকে দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত ভোগান্তি যখন চরমে তখন প্রস্তাবিত বাজেটে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী খাত, সোলার প্যানেল, এনার্জি সেভিং বাল্ব এ বরাদ্দ হ্রাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী ব্যবহারে আরও ভুর্তকি বাড়ানোর দরকার ছিল মত প্রকাশ করা হয়। জ্বালানী খাতে বরাদ্দ হ্রাসের কারনে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হবে এবং দেশে শিল্পায়ন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন বর্তমান হার অপযাপ্ত বলে এ ভাতার পরিমান ও গ্রহীতার হার বৃদ্ধি এবং এর বিতরণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও যথাযথ মনিটরিং করার দাবী জানানো হয়। একইসাথে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচির আওতা বাড়ানো, সামাজিক বনায়ন, উপকুলীয় বাঁধ, গ্রামীণ রাস্তা ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষনের জন্য খাদ্য সহায়তার ন্যায় ব্যাপক কর্মসংস্থান মুলক প্রকল্পে আরও বরাদ্দ বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে বলা হয় কৃষি উৎপাদনের জন্য ডিজেল ভুর্তকি প্রদান করা হলেও সার ও জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত করবে। প্রতি বছর বিপুল পরিমান কৃষি ও চাষযোগ্য আবাদী জমি হ্রাসের নজরদারি বাড়ানোর কোন নির্দেশনা না থাকায় আগামীতে কৃষি উৎপাদন হ্রাসের আশংকা করা হয়। কৃষি সার ও বীজ বিপননে বিএডিসিকে সচল না করা, দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের হাতে সার ও বীজ বিপননের প্রক্রিয়াটি রদ করার কোন ঘোষনা না থাকায় কৃষি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কিনা সন্দেহ। প্রকৃত কৃষক ও উৎপাদনকারীর যথাযথ মুল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে সরকারের উদ্যোগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শস্য গুদাম ও হিমাগার স্থাপন করা, সরকারী উদ্যোগে কৃষি পণ্য ক্রয়ের এবং কৃষি পণ্য বিপনন খাতে সমবায় জোরদার করা দরকার, কৃষি ঋণ বিতরনে গুটি কয়েক ব্যাংক ও ২/১টি এনজিওকে দায়িত্ব প্রদান না করে এর সংখ্যা বৃদ্ধি, এসএমই ঋণ, বর্গাচাষী ঋণ ও মহিলাদের জন্য এসএমই ঋণ বিতরনের প্রক্রিয়া আরও সহজতর করা ও আরও বেশী সংখ্যক সংস্থার উপর দায়িত্ব প্রদান ও এর পরিধি বাড়ানো দরকার বলে মত প্রকাশ করা হয়। বাজেটে বিভিন্ন উৎসে কর বিশেষ করে শুল্ক ও ভ্যাটের পরিধি না বাড়ানোর জন্য সরকারের নিকট আহবান জানানো হয়, কারণ এ সমস্ত ভ্যাট, ট্যাক্স গুলি শেষ পর্যন্ত সাধারন ভোক্তার ঘাড়ে গিয়ে পড়ে এবং জনজীবনে ভোগান্তি বাড়ায়। ব্যবসায়ীরা এটিকে জনগনের পকেট কাটার নতুন অস্ত্র হিসাবে নিয়ে থাকে। বাজেটে নির্মাণ সামগ্রী, নবায়যোগ্য বিদ্যুৎ, এনর্জি বাল্ব, কিছু ঔষধ, তৈল, দুগ্ধজাত পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করায় সাধারণ ভোক্তাগণ উপকৃত হবেন বলে মত প্রকাশ করে বলা হয় এর সত্যিকারের যথাযথ নজরদারি করার দাবী করেন। 
 
ক্যাব সরকারী উদ্যোগে ওএমএস এর পরিধি আরও বাড়ানো, সাধারন মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য চালের উপর ভুর্তকি প্রত্যাহার না করে এটি আরও অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানান। ১০ টাকার পেয়ার প্রাইস কার্ড যুগান্তকারী হলেও মাঠ পর্যায়ে নিয়মশৃংখলার গাফলতির কারনে এটি ব্যর্থ হলেও এটি চালু রাখা ও পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করা হয়। একই সাথে প্রস্তাবিত বাজেটের সুপারিশ অনুযায়ী ভোজ্য তৈল, দুধ, ডাল, শিশু খাদ্যসহ যেসমস্ত খাতে শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করা হয়েছে সে সমস্ত খাতের সুফল যেন সাধারন জনগন পায় সে জন্য যথাযথ মনিটরিং করা এবং সেখানে যেন ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয় সে বিষয়ে করনীয় নির্ধারনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। এছাড়াও জরুরী ভাবে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবয়ন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তরের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল, লজিস্টিক সুবিধা বৃদ্ধি, তৃনমুল পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার ও শিক্ষা বিষয়ে কর্মসুচি পরিচালনায় বরাদ্দ সংস্থান, ব্যবসায়ী সংগঠনের পাশাপাশি ভোক্তা সংগঠনগুলিকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, খাদ্য ও পণ্য পরীক্ষায় বিএসটিআই এর আরো সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, টিসিবিকে পেশাদার ও দক্ষলোকবল ও তহবিল দিয়ে একটি আপদকালীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে কার্যকর করা, বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১কে আধুনিকায়ন ও কার্যকর করা, কম্পিটিশন কমিশণকে দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানান। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও সারের দাম না বাড়ালেও বাজেটের পূর্বে এ সমস্ত খাতে দাম বাড়িয়ে দিয়ে সরকার জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে এবং মুল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বাজেটের বহু পুর্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য ক্যাব আশা করে এ ধরনের মজুতদারদের কারসাজি বন্ধে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্ঠিকারীদের বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে আন্তরিক হবেন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য তদারকির কাজটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ন অগ্রাধিকার দায়িত্ব হিসাবে বিবেচনায় নির্দেশনা প্রদান করবেন। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা সরকারের একটি অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার হলেও এ অঙ্গীকার পুরনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্যোগ দৃশ্যমান ছিল না এবং বাজেটেও সে ধরনের একটি নির্দেশনা প্রয়োজন ছিল। এছাড়াও বানিজ্য মন্ত্রণালয় যেহেতু শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা থাকে, সেকারনে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে পৃথক ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। ঢাকা শহরের নিন্ম আয়ের জনগোষ্ঠির জন্য ১০ হাজার ফ্লাট তৈরীর বরাদ্দ রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তবে এ ক্ষেত্রে উপকারভোগী নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও সত্যিকারের নিন্মআয়ের লোকজন যেন উপকৃত হয় তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
 
বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সহ-সভাপতি হাজী ইকবাল আলী আকবর ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *