এ বাসার চঞ্চল নওগাঁ প্রতিনিধি:-নওগাঁর রাণীনগরে হঠাৎ করেই চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। বেশকিছু গ্রামের মানুষ জানমাল রক্ষার্থে রাতের ঘুম হারাম করে ডাকাত আতংকের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ডাকাতি ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশী জোর তৎপরতা থাকলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকার কারণে উপজেলায় প্রান্তিক জনপদের গ্রামগুলোতে ডাকাতির ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই থানাপুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি গ্রামে পাহারা দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে।
জানাগেছে, গত ২৭ নভেম্বর রাতে উপজেলার করজগ্রাম হিন্দু পাড়ার চাতাল ব্যবসায়ী ভূপেন্দ্রনাথ দেবনাথের বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। ঘটনার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ৩০ নভেম্বর রাতে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে জালাল উদ্দীনের বাড়ির গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনার মাত্র ২ দিনের মাথায় ২ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গৌরদিঘী গ্রামের নারায়ন চন্দ্রের ছেলে নিমাই চন্দ্রের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রায় ১ লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। একই রাতে বেলঘড়িয়া গ্রামের শ্রীপদের গোয়াল ঘড় থেকে ২ টি গাভী ছেড়ে দেয় চোরেরা। এছাড়াও গত নভেম্বর মাসে উপজেলার ঘোষগ্রামের জব্বার ডাক্তারের বাড়ীতে হানা দিয়ে ডাকাতরা প্রায় লক্ষাধীক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং সিম্বা গ্রামের আব্দুল কাদের এর ৩টি গরু ও গহেলাপুর গ্রামের ছহির উদ্দীনের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার দুটি গরু চুরিসহ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। হঠাৎ করেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চুরি ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসি চরম আতংকিত হয়ে পড়ছে।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে করজগ্রামের ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী মালামাল উদ্ধার সহ জরিতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে। অন্যান্য চুরি ডাকাতির ঘটনা গুলোর সাথে জরিত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য জোরালো অভিযান অব্যহত আছে। জনস্বার্থে ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশী টহল জোরদার সহ জনসাধারণ সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে সকল ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে দোষিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
