কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ: গ্রেফতার ৪

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বিষ্ণপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের বিষয়টি আপস করতে ওই গৃহবধূর বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঙ্গরাবাজার থানার বিষ্ণপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে রনি ও তার তিন বন্ধু গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দুপুরে একই গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীকে ওই গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সাগরের বাড়িতে নিয়ে যায়।

পরে ওই বাড়ির ২য় তলার একটি কক্ষের মধ্যে তারা ভিকটিমকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে।

ভিকটিমের বাবা বাক্কী মিয়া জানান, এ ঘটনার পর লোক লজ্জার ভয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ১০-১২ দিন আগে ধর্ষকরা ওই ভিডিওচিত্রটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা না দেয়ায় তারা ওই ভিডিওচিত্রটি প্রবাসে অবস্থানরত জামাতার কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং তা ইন্টারনেটেও ছেড়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ধামাচাপা দিতে ধর্ষকদের অভিভাবকসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা বুধবার আমাকে চাপ সৃষ্টি করে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রনি নামে এক ধর্ষক ও অপর তিন ধর্ষকের অভিভাবককে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন বিষ্ণপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন ওরফে রনি, হারুন অর রশিদ, মিজান ওরফে মিজান কসাই ও বেনীখোলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন।

এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনকে আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।

থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর ধর্ষক রবি, আক্তার ও সাগরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *