ঢাকা:
মঙ্গলবার (০৯ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত Myo Myint Than বিদায়ী সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে এ কথা তার সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যাকলয়ে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অমানবিক জীবন-যাপনের কথা্ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার সরকারের পৌঁছে দিবেন উভয় দেশ একত্রে, আমাদের উচিত এ ইস্যু সমাধানের একটা উপায় খুঁজে বের করা। আমরা সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা (রোহিঙ্গা শরনার্থী) আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা খুব অমানবিক কন্ডিশনে বাস করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির পর ভারতে চলে যাওয়া শরনার্থীদের ফিরিয়ে আনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশের মধ্যে কোন ব্যাপারে সমস্যা হতে পারে কিন্তু সে সমস্যাটা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই।
নিবন্ধিত শরনার্থী ছাড়াও বাংলাদেশে আরো রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদুত বলেছে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তার সরকার আন্তরিক (সিরিয়াস)।
কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তবে ওই সুপারিশগুলোর মধ্যে দুই একটি বাস্তবায়ন করা ‘খুব কঠিন’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশিদের গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের মাটি প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ বা বিদ্রোহীদের দৃঢ় ভাবে দমন করার কথা বলেন তিনি। (In recent times, We have been firm in disallowing our territory to arm groups or insurgents of Myanmar.)
প্রতিবেশি হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো উন্নত করার জন্য যৌথ বাণিজ্য কমিশন চালু করা।
দুই দেশের মধ্যে কার্গো পরিবহনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অং সান সুচিকে বাংলাদেশ সফরের জন্য দাওয়াতও দেন শেখ হাসিনা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যা সমাধান করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
