ছাত্রদলের আবিদ খান ডাকসু ভিপি পদে আলোচনার শীর্ষে

রায়হান চৌধুরী :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন মানেই শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন, আন্দোলন আর নেতৃত্ব গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই নির্বাচনে এবার আলোচনায় এসেছেন ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান। তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আবিদুল ইসলাম খান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর (পূর্ব) ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের কৃতী সন্তান।

তার বেড়ে ওঠা এক সুশিক্ষিত পরিবারে। তাঁর পিতা আনোয়ার হোসেন খান ছিলেন বাখরনগর বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। শিক্ষকতার প্রতি নিষ্ঠা আর ছাত্রদের প্রতি মমত্ববোধ তাঁকে এলাকায় শিক্ষার বাতিঘরে পরিণত করেছিল।

মায়ের দিক থেকেও আবিদ পেয়েছেন এক মর্যাদাপূর্ণ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য। তিনি দৌলতপুরের খ্যাতনামা ইয়াকুব আলী পীর সাহেবের নাতি। পরিবারের চার সন্তানের মাঝে তৃতীয়। আবিদ আজ হয়েছেন পরিবারের ও এলাকার গর্ব। এই পারিবারিক প্রভাব তাঁর চরিত্র গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে, যা তাকে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা আর সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষা দিয়েছে।

শৈশব থেকেই আবিদের স্বপ্ন ছিল নেতৃত্ব দেওয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তাঁর উপস্থিতি ছিল দৃষ্টিগোচর। সহপাঠীদের মতে, তিনি শুধু নেতা নন, বরং সবার পাশে দাঁড়ানো একজন আন্তরিক মানুষ।

তাঁর নিজের ভাষায় “আমি রাজনীতি করি সবার জন্য, কারো বিরুদ্ধে নয়। ছাত্রসমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।”

আবিদুল ইসলাম খানকে ঘিরে মুরাদনগরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। গ্রামীণ আড্ডা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আবিদ। স্থানীয়রা মনে করছেন, তাদের এই কৃতী সন্তান কেবল ডাকসু নয়, দেশের ভবিষ্যত রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

মুরাদনগরের সাধারণ মানুষ মনে করেন, সততা, যোগ্যতা ও নেতৃত্বগুণে আবিদ একদিন জাতীয় নেতৃত্বেও উজ্জ্বল ভূমিকা রাখবেন। ছাত্ররাজনীতির অঙ্গন থেকে শুরু হওয়া তাঁর এই যাত্রা ভবিষ্যতের বাংলাদেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *