ফেনী:
শহরতলির মিছবাহুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ইস্রাফিল হোসেন ইফাত (১৪)এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার(২১মে) সকালে মাদ্রাসা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
ইফাত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাত ইউনিয়নের সাতগরিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী ইয়াসিনের ছেলে।
স্থানীয়দের ধারণা, মাদ্রাসার ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে সে আত্মহত্যা করেছে না কেউ তাকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
নিহতের মা লায়লা আনজুমা বলেন, মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল ইফাত। তবে সে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম বলেনি। আমি ধারণা করেছিলাম, সে মাদ্রাসায় না যাওয়ার জন্য মিথ্যা বলছে। তাই তাকে মাদ্রাসায় রেখে আসি।
নিহতের সহপাঠী মোবারক জানায়, ছাদ থেকে কাপড় আনতে রাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ছাদে যায় ইফাত। এ সময় সে তাকেও সঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু অন্ধকার বেশি হওয়ায় ইফাতের সঙ্গে ছাদে না গিয়ে পঞ্চম তলা থেকে সে রুমে ফিরে আসে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ইউনুছ বলেন, গত পাঁচ দিন আগে ইফাত মাদ্রাসায় কিছু না জানিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়ি গিয়ে তার মাকে জানায়, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করত। তাই সে মাদ্রাসায় পড়তে রাজি নয়। তবে তার মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে শুক্রবার বিকালে মাদ্রাসায় রেখে যান।
তিনি বলেন, আমরা তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে মাদ্রাসায় রাখতে অপারগতা প্রকাশ করি। তারপরও তার মা জোর করে ইফাতকে রেখে যান। রাতে ফজরের আগে পড়ার সময় তাকে ক্লাসে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিছু সময় পর বাড়ির মালিক আমাদের খবর দেন একজন ছাত্রের লাশ ভবনের সামনের রাস্তায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙা বালতি জব্দ করা হয়েছে।