সোনাগাজী পৌর মেয়র খোকনের সম্পদের খোঁজে দুদকের চিঠি

সোনাগাজী(ফেনী)প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনের আয়কর নথিতে উল্লেখিত সম্পদের তথ্য যাচাই করে রির্পোট প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্পদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো: সাইদুজ্জামান সম্প্রতি এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রাপ্ত তথ্যদি জানাতে অনুরোধ করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন কর্তৃক ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ হতে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত ৪৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৯১ টাকা (গাছ, মাছ, নারিকেল, সুপারি) বিক্রয় করে উপার্জন করেছেন মর্মে আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছে।

তার স্ত্রী তাসলিমা কাউসার, রফিকুল ইসলাম খোকন সোনাগাজী এগ্রো, মেসার্স তসলিমা ডেইরী ফার্ম, সোনাগাজী ফেনী কতৃর্ক ২০১৯-২০২০ করবর্ষ হতে ২০২১-২০২২ করবর্ষ পর্যন্ত গৃহপালিত হাঁস, মুরগী, কবুতর, এবং ব্যবসার মাধ্যমে ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা। মুরগী ফার্মের ব্যবসার মাধ্যমে ছয় লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ডেইরি ফার্মের ব্যবসার মাধ্যমে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা এবং মৎস্য চাষ হতে ২৫ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টাকা উপার্জন করেছেন মর্মে আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন।

ওই উল্লেখিত খাতগুলোর ব্যবসার সঠিকতা ও যথার্থতা যাচাইয়ে কমিঠি গঠন করে সরেজমিনে যাচাই করে আয়কর নথিতে উল্লেখিত খাতসমূহ হতে প্রদর্শিত অর্থ আয় করা সম্ভব ও বাস্তব সম্মত কিনা তা রির্পোট প্রদান করতে বলা হয়।

দুদকের চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হক বলেন, পৌর মেয়রের সম্পদের তথ্য যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য সোনাগাজী পৌর মেয়র ২০১৬সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দৃশ্যমান শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বিকল্প পেশা না থাকলেও পৌরসভায় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে লুট করে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন তার পৌর পরিষদের একাধিক কাউন্সিলর। এর আগে সোনাগাজী পৌর মেয়র খোকনের শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিবরণ দিয়ে দুদকে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর নুর নবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *