বাংলার দর্পন ডটকম :
সমাবেশ শুরুর আগেই মাইক ফেলে দিল পুলিশ।মাইকম্যান কে থাপ্পর দিয়ে মাইক নিয়ে পাঠিয়ে দিল।আমরা সমাবেশ শুরুর জন্য এসে মাইক আবার লাগালাম।পুলিশকে বললাম আমরা সমাবেশ করব মাঠ রক্ষার দাবীতে।পুলিশ বলল মাঠে ঢুকতে পারবেন না।আমরা যুক্তি উপস্থাপন করলাম,যুক্তি শুনে বলল সব ঠিক আছে দাবী কিন্তু মাঠে যেতে পারবেন না।আমরা বললাম আপনারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আছেন আমরা দুইটা ব্যানার একটা দুইটা মাইক নিয়ে আছি।মাঠে আমরা ঢুকতে পারবনা এ কেমন কথা?পুলিশ বলল আপনারা রাস্তায় যান ঐখানে করুন।আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তার ফুটপাত ঘেঁষেই শুরু করলাম সমাবেশ।৫/১০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলের স্রোতে ধীরে ধীরে লোক সমাগম বেড়ে গেল।এলাকার শিশু অভিভাবকরাও আন্দোলনে যোগ দিল।রাস্তার দুধারে লোকে ভরপুর।যানজট মুহুত্বে জনদূর্ভোগ তৈরী করল।সমাবেশের ৫০ গজ দূড়ে আটকা পড়ল সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের গাড়ী বহর।মাইকে পুলিশকে অনুরোধ করলাম আমরা,আমাদের সমাবেশের কারনে জনগনের দূর্ভোগ চরমে।আমরা রাজপথ অবরুদ্ধ করতে পারিনা।দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা আছে।আমাদের মাঠে প্রবেশ করতে দিন।৫০ গজ দূরের মেয়র সাহেবের গাড়িকে লক্ষ্য করে এরপর মাইকে ঘোষনা করা হল আমরা চট্টগ্রামে মহিউদ্দিন নাছিরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।আমরা আমাদের দুই নেতাকে আমাদের পাশে পাব বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।কিন্তু আমাদের পাশে তিনি এলেন না।গাড়ির মুখ পেছনে ঘুরিয়ে নিল প্রটোকল পুলিশ।আমরা নিরাশ হলাম ততক্ষনে আরো মিছিল এলো।রাস্তায় যানজট।পুলিশকে আবারো অনুরোধ করলাম,যানজট নিরসনে আমরা ভেতরে ১০ মিনিট সমাবেশ করব।তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ।বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে ছাত্রলীগ।প্রবেশ করলাম মাঠে।মুহুত্বে মূহমূহ রাবার বুলেট,শর্ট গানের গুলি।পুলিশকে থামাতেই প্রতিরোধে পাথর নিক্ষেপ কিন্তু ততক্ষনে গুলিবিদ্ধ ৫ জন ছাত্রনেতা।আহত দুই ডজনের বেশী কিন্তু অভিভাবক পত্রিকায় বললেন পাথর মারবে কেন?সাংবাদিকের খবরে প্রকাশ বেপরোয়া ছাত্রলীগের হামলায় পুলিশ সহ আহত ৪০