স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা চেষ্টার ন্যায় বিচার ও মিথ্যা হয়রানি মূলক চাঁদাবাজি মামলা
থেকে অব্যহতি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর গাবতলা
পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ইউনিটির সাংগঠনিক
সম্পাদক ও সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ভুক্তভোগী রমজান আলী।
শনিবার (১লা জানুয়ারী) সকালে পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি
বলেন, গত ২৯শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমার কাছে খবর আসে পৌর
হাসপাতাল মোড় এলাকায় ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় সাফা উদ্দিন নামে
এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর অবৈধভাবে ভাংচুর করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ
সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং দোকান ভাংচুরকারী মৃত ফয়েজ আলী মন্ডলের ছেলে
তোয়াজ মন্ডল এর কাছে ভাংচুর এর বিষয়টি জানতে চাইলে তোয়াজ মন্ডল ও তার ছেলে
শাহারিয়ার পারভেজ আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।
এক পর্যায়ে তারা বাপ ছেলে ও তাদের
সহযোগী সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় ফারুক
হোসেন আমাকে জাপটে ধরে রাখে এবং শাহরিয়ার পারভেজ ও তার বাপ তোয়াজ মন্ডল
দুজনাই কাঠের বাটাম তুলে আমার মাথার পিছনে কপালে ও হাতে পায়ে এবং শরীরের
বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে।
এঘটনার পর আমার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করে। আমার মাথায় ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বাম হাতের একটি আঙুল ভেঙে
গেছে এবং হাতে পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু হত্যা চেষ্টা করে শান্ত হয়নি, আমাকে পিটিয়ে জখম করে আসামিরা
কোটচাঁদপুর মডেল থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ে
অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে হত্যা চেষ্টা করার পর আমি নিজে
বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু
অজ্ঞাত কারনে আমার অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। তিনি
অভিযোগ করেন আসামীরা প্রভাবশালী ও আত্মীয় স্বজনরা প্রশাসনের উদ্ধতর কর্মকর্তা
হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে আমার মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি। শুধুমাত্র অভিযোগ
আকারে আমার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন,হাসপাতালে মৃত্যু
শয্যায় থেকেও বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি এবং আমার পরিবারের ওপর হত্যা, গুম ও
মামলার ভয় দেখাচ্ছে আসামিরা। ইতিমধ্যে আমার ভাইয়ের বাসায় পুলিশ যেয়ে বিভিন্ন
হুমকি সরুপ আচরণ করেছেন।
এমতবস্থায় আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও আমাকে হত্যা
চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার
কার্যকর করা হোক। পাশাপাশি সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা থেকে
অব্যহতি দেওয়া হোক।
সাংবাদিক সম্মেলনে দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার উপজেলা
প্রতিনিধি কাজী মৃদুল, দৈনিক যশোরের কামাল হাওলাদার, দৈনিক নবচিত্রের নজরুল
ইসলাম,দৈনিক যায়যায়দিনের আলমগীর খান, দৈনিক আমার দেশের মঈন উদ্দিন, দৈনিক
নওয়াপাড়ার এস এম রায়হান, দৈনিক ভোরের দর্পন ও কোটচাঁদপুর রিপোর্টাস ইউনিটির
সভাপতি আনোয়ার জাহিদ জামান,সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক এই আমার দেশের খন্দকার
আব্দুল্লাহ বাসার, দৈনিক ভোরের সময়ের সোহেল চৌধুরী, দৈনিক নবচিত্রের শহিদুল
ইসলাম, দৈনিক খুলনাঞ্চলের আশাদুল ভূঁইয়া, দৈনিক সাপ্তাহিক দিগন্ত বাণীর আরিফ
হোসেন সহ স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।