পথিক নদী
_ রিটন মোস্তফা
“যেখানে মাটি নরম,
ধাপে ধাপে সেখানেই গর্ত হয়।
সেখানেই জমে থোকা থোকা জল
যেখানেই ফোটে ভোরের শিউলি
সেখানেই কিছু ফুল পদপিষ্ট হয়
তবুও কি সুবাস ছড়ায়না বকুল?”
ব্যাকুল হৃদয়ে আঘাতের ক্ষত
পদক্ষেপে লেগে থাকে বিবর্ণ জঞ্জাল
তবুও পথিক বুকের হাপর চেপে পথ হাঁটে।
হাঁটতে হয়, কেন না পথিকের বুকে তৃষ্ণা
পথিকের গন্তব্যই পথের হেঁটে চলা
এই কদাকার পৃথিবীর পথে পথিকের সাথে
না জানি, রোজ কত তবুও অবন্তরের দেখা হয়।
বয়ে গেছে কত নদী,
কত নরম মাটি দুপাশে রেখে
সয়ে গেছে কত ভাঙনের ইতিহাস
রোজ একই ভাবে
তবুও পথ ফুরায়নি,
তবুও তার গতি রোধ হয়নি কখনও।
পাথুরে পাহাড়ের কান্নার স্রোত
রেখে গেছে দুপাশে কতো ধান ক্ষেত,
ঝাউ বন, কাশফুল আর সবুজের কাহিনী।
একদিন পথিকের হয়তো শেষ হবে,
তবুও অনাদিকাল থেকে যাবে নরম মাটি
রেখে যাবে গোপন পোলি,
রেখে যাবে সবুজের উর্বর ভূমি।
একদিন শেষ হবে আঁকা বাঁকা পথ চলা,
শেষ হবে সবুজের হাতছানি,
তবুও নদী ও পথিক পথেই থাকে,
পথের নেশায় পথচলা অজনা গন্তব্যে।
এখানে প্রত্যশারাও অপ্রত্যাশিত,
উলঙ্গ, এবং নির্লজ্জ,,,,
এখানেও রোজ অন্ধেরাও হয়
নিদারুণ ভাবে ধর্ষিত
এখানেও বড় বড় বৃক্ষের ডালে
লটকে থাকে তাদের অসংখ্য লাশ,
যারা রোজ শহরের অলিতে গোলিতে
অযথাই বিক্রি হত।
এই যে পথিক!
থেমনা এসবে, হেঁটে যাও রোজ।
এই যে নদী! থেমনা তুমিও,
জন্ম দাও সবুজের অরণ্য
এই যে বৃক্ষ!
হয়োনা কুঁজো, ফোটাও ফুল, ঝড়াও পথে,
দু একটা পথিকের পায়ে দলে
বন্ধ করো না যেন এই সুবাস ছড়ানো….।।