ফুলবাড়ীতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

বিভাগীয় কিংবা জেলা শহরের বাজারে সবজির এত দাম হওয়ায় উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

বাজারের এমন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গুলো।

কম টাকা আয়ে সংসার পরিচালনা করতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবার গুলো। সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রবি মৌসুমের শুরুতেই আকস্মিক বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে। ফলে সবজি চাষে ধস নেমেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

ফুলবাড়ী সদরের পাইকারি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুস ছালাম জানান, চার দিনের ব্যবধানে সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বড় আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশি আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুস ছালাম আরও জানান, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ (মাঝারি) ৪০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মোটা চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল (চিনিগুঁড়া) ৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৫ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১১০, মসুর ডাল (মোটা) ৮০ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, মাষকলাই ১১০ টাকা, হলুদ (গুঁড়া) ২০০ টাকা, মরিচ (গুঁড়া) ৩৫০ টাকা।

খড়িবাড়ি হাটের মাংস বিক্রেতা হামিদ আলী জানান, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফুলবাড়ী সদর, খড়িবাড়ি হাট, বালারহাট এবং গংগারহাট বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মুরগি বিক্রেতারা জানান, এই প্রথম সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম ৩৫ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম ৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

গঙ্গাহাট-বাজারের মাছ বিক্রেতা হরিশংকর জানান, সব মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে। সিলভার কার্প ১১০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১২০ টাকা, ছোট কাঁচকি ২০০ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস জানান, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। নির্ধারিত মূল্যের অধিক দাম যাতে কেউ নিতে না পারে, সে জন্য মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *