বজরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সরকারি কাজে অনিয়ম তদন্তে স্থানীয় সরকার

নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ইকবাল হোসেন নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা আবু ইউসুফ’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সোমবার দিনব্যাপী তিনি প্রকল্পগুলোর কাজের স্থান সরজমিনের পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন অর রশিদ চেয়ারম্যান নির্বাচিতের পর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিবি, ভূমি হস্তান্তর কর, টিআর, কাবিখা, মৌলিক থোক বরাদ্দ, এলজিএসপি-৩ ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ইউনিয়নের সাকিরপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, আমাদের ভূঁইয়া বাড়ির সামনের পাকার মাথা থেকে বদরপুর সীমানা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত বাবদ ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা কোনো কাজ ছাড়াই চেয়ারম্যান উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
একই অভিযোগ তোলে বদরপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বদরপুর দুলা মিয়া চৌকিদার বাড়ি মসজিদের পাশ থেকে এতিমখানা পর্যন্ত মাটি দ্বারা সড়ক সংস্কার বাবদ কোন কাজ করা হয়নি। যার ব্যায় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এছাড়া পূর্ব চাঁদপুর তোপাদার বাড়ির রাস্তা মেরামত বাবদ ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
মোটুবি পাকা রাস্তার মাথা থেকে পশ্চিমে রাস্তা মেরামত বাবদ ৭৬ হাজার টাকাসহ মোট দশটি প্রকল্পে কাজ বাস্তবায়ন না করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেন তারা। এদিকে ওই এলাকাগুলোতে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নসহ প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দীর্ঘ কয়েক বছর আমরা আমাদের সড়ক সংস্কার করে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ এখন পর্যন্ত তারা পায়নি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মিরন অর রশিদ জানান, আমি প্রতিহিংসার শিকার। প্রকল্পের প্রতিটি কাজ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যেমে করা হয়েছে। প্রতিটি কাজ সকারিভাবে তদন্ত করা হচ্ছে, আমি উনাদের সহযোগিতা করছি। তদন্ত শেষে উনারা প্রতিবেদন প্রদান করলে প্রমাণ হবে আমি সবগুলো কাজ সঠিকভাবে করেছি কি-না।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা আবু ইউসুফ জানান, আমরা বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি এবং একই সাথে যেই  অভিযোগগুলো দেওয়া হয়েছে সে  অভিযোগগুলোর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা সবগুলো বিশ্লেষণ করে কয়েকদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা করছি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *