“এই যে গেঞ্জিটা দেখছেন, এইটা আমার বউ আমাকে দিয়েছে। পেশায় আমি মেকানিক হতে পারি, তার কাছে আমিই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ইঞ্জিনিয়ার। কাজ শেষ করে বাসায় যাওয়ার পর আমি একটা ইলেক্ট্রিক দোকানে কাজ করি। টুকটাক মেরামত, বৈদ্যুতিক কাজ করতে পারি। মাঝে মাঝে প্রতিবেশীদের কাজও করে দেই। আমাদের দিন আনি, দিন খাই সংসারে এই আলাদা উপার্জনগুলো খুব কাজে লাগে। বেতনের টাকা থেকে বউ’কে কখনোই কোন হাতখরচ দিতে পারিনা। ইচ্ছা থাকলেও উপায় থাকে না। তাই এইসব ছোটখাটো উপার্জনের পুরো টাকাটাই বউয়ের হাতে তুলে দেই। তখন যে সে কি খুশি হয়! এইরকম টাকা জমিয়েই ও আমাকে এই গেঞ্জিটা কিনে দিয়েছে। দাম কত আমি জানিনা, কিন্তু এই উপহারের সাথে ওর যে ভালোবাসা জড়িয়ে আছে তা কোন মূল্যেই পরিমাপ করা যাবেনা। কিন্তু এখন আমি ওকে এমন হুটহাট খরচ করতে মানা করেছি। নিজেও কম গুরুত্বপূর্ণ খরচগুলো বাদ দিচ্ছি। কারণ কিছুদিন পরেই আমাদের সংসারে আরেকজন আসতে চলেছে। ওর জন্য আমি অনেক কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছি। আমি হতে না পারলেও ওকে আমি সত্যিই ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাই। আর আমার বউয়ের পরিচয় হবে সত্যিকারের “ইঞ্জিনিয়ারের মা”।”
– তৈরি পোশাক কারখানার একজন মেকানিক এর লুকায়ীত কথা।
সম্পাদনা / সৈয়দ মনির অাহমদ।