নোয়াখালী :
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা থেকে নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য পিতা মো.ইদ্রিস মিয়া (৫৭) ও তার পুত্র আবদুল্লাহ শাফীকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুবের বাপের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত পিতা-পুত্র হলো, উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুবের বাপের বাড়ির বাসিন্দা।
সেনবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ভিকটিমের বরাত দিয়ে বলেন, ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই পরীকোট গ্রামের আবদুল মালেক জমিদারের মেয়ে নাছিমা আক্তার জোসনাকে ১১ বছর বয়সে তার জেঠি আফরোজা বেগম ওরফে মুন্নি ও জেঠা মো.ইদ্রিস মিয়া এবং তাদের ছেলে আদুল্লাহ শাফী বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে ফেনী পৌরসভার রামপুর ১৮নম্বর ওয়ার্ডের তাকিয়া রোডের জয়নাল আবদীনের নিকট ২লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
দীর্ঘদিন খোঁজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পাচারের শিকার ১১ বছরের ওই শিশুটির বর্তমান বয়স ২৬ বছর।
পাচারের ১৫ বছর পর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার ওই যুবতী ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর সেনবাগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরে ভিকটিম নাছিমা আক্তার জোসনা ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ওই মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি ছিল।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, মানব পাচার আইনের মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত দুই আসামি দীর্ঘদিন থেকে পলাতক ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী।