বায়েজিদ বোস্তামী দরগার টাকা আত্মসাৎ, দুদকের মামলা

রোকসানা চৌধুরী পপি, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার পরিচালনা কমিটি ও একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান মিলে আত্মসাৎ করেছে আড়াই কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফকরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদক জানায়, নিয়ম না মেনে পছন্দের ইমারত নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বায়েজিদ বোস্তামী দরগাহ শরীফের পরিচালনা কমিটি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ নির্মাণাধীন মার্কেটের দোকানগুলো বরাদ্দের নামে অগ্রিম কিস্তি হিসেবে প্রতিটি দোকান থেকে নেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। সেখানে ওই মার্কেটের ৫০টি দোকান বরাদ্দের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয় আড়াই কোটি টাকা।

মামলার বাদি ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দরগাহ শরীফের পরিচালনা তৎকালীন দরগাহ শরীফ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী ও জে এম জি হোল্ডিং এস্টেট এন্ড ডেভেলপার কোম্পানির পরিচালক সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।’

অভিযুক্তরা হলেন, বায়েজিদ বোস্তামী দরগাহ শরীফ পরিচালনা কমিটির তৎকালীন সেক্রেটারি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, জেএমজি হোল্ডিং এস্টেট এন্ড ডেভেলপার কোম্পানীর বাণিজ্যিক অংশীদার রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৭ নম্বর রোডের সেন্ট নমেরিন হাউজের ১৪৫ নম্বর বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র ইয়াজ্জেম হোসনে রোমেন এবং কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা পেপার প্লাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মো. পারেছ মিয়ার পুত্র হারুনুর রশিদ।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. হুসাইন শরীফ।
২০২০ সালের শেষ দিকে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় মামলার সুপারিশ করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন এই কর্মকর্তা। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাইয়ে কমিশন মামলার অনুমতি দেন দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *