কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের ১২ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ

নোয়াখালী সংবাদদাতা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে আবারো গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কাদের মির্জার অনুসারী ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়। তবে কাদের মির্জার দাবি তার ১০-১২জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

শনিবার (২৯ মে) রাত ৮টার দিকে কাদের মির্জা ও বাদল অনুসারীদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের হড়ান্নাগো বাড়ির সামনের সড়কে এই গুলির ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলো, পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), নূর আহম্মদের ছেলে জিসান (২৩), মো.সানি (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে দিদার (৫৬)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তার পক্ষে মিছিল করে।

বসুরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বাদল অনুসারীরা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে কাদের মির্জা অনুসারী ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়। তবে প্রতিপক্ষ বাদল অনুসারী কারো আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

কাদের মির্জা বলেন, বাদল, রাহাত, মন্জুর নির্দেশে সন্ত্রাসী রাহিম, শাকিল, রাজিব, রিয়াদ, আলা উদ্দিন, আরমান, দিদার, রাফেলসহ ২০-২৫ টি হুন্ডা নিয়ে বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। তাদের গুলিতে আমাদের ১০-১২ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। ওসি জায়দুল হক রনির উপস্থিতিতে এই গুলিবর্ষণ হয় বলে জানান তিনি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ ৫জন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। গুরুত্বর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *