“আমার স্বামীর কোন অভাব নেই। সে ছোট একটা ব্যবসা করে। যা আয় হয় তাতে আমি, আমার স্বামী আর আমাদের দুই ছেলের ভালোভাবেই দিনাতিপাত করা যায়। কিন্তু তবুও আমি এখানে কাজ করছি। নাহ! আমার কোন কষ্ট নেই, অর্থের অভাবও নেই। অভাব ছিলো শুধু একটা জিনিসের। সেটা হলো, আত্নপরিচয়। আমার নিজের বলে সত্যিই কিছু ছিলোনা। স্বামীর সাথে কোন সমস্যা না থাকলেও একটা আত্নপরিচয়ের তাগিদ সবসময় ছিলো। আমার মা’কে তাঁর পুরোটা জীবন বাবার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রতিদিনই মা’কে মার খেতে দেখেছি ছোটবেলা থেকে। মা প্রায়ই বলতো। “আজ যদি দু’বেলা কিছু মুখে দেবার ব্যবস্থা করতে পারতাম, এখান থেকে পালিয়ে যেতাম”।
মা আজ নেই, কিন্ত মায়ের সেই আকুতি আজও আমার চোখে ভাসে। সবকিছু যখন স্বামীকে বুঝিয়ে বলেছি, সেও আর বাঁধা দেয়নি। আমার খুব একটা বেতনের টাকা খরচ করতে হয়না। একটা ডিপোজিট করেছি। বেতনের প্রায় পুরো টাকাটাই জমিয়ে রাখছি সেখানে। একদিন নিজের মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করবো আমি, সেটা হবে একান্ত নিজের টাকায়। একান্তই আমার।” – একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর।