ফেনী’ প্রতিনিধি
ফেনী ৩ (দাগনভূঞা – সোনাগাজী) আসনের সাংসদ লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতির বেশীরভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, রাস্তা পাঁকাকরন, কাচাগুলো সলিং, মসজিদ মাদ্রাসা, পূজামণ্ডপ, স্কুল কলেজসহ নানা উন্নয়নমুখী প্রকল্পের কাজ বেশীরভাগই সমাপ্ত কিছু চলমান এবং বিভিন্ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় রয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এতে সোনাগাজী শিল্পাঞ্চল ও দাগনভূঞা উপজেলা ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষমাত্রা পূরণে পরিবর্তন হতে চলেছে অত্র অঞ্চলের ভৌগলিক চিত্র।
জানা যায়, ওয়ান ইলেভেন এর পরবর্তী সময় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন এবং সংস্কারক হিসেবেও অভূতপূর্ব কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহন করে জনসাধারণের মাঝে প্রশংসার জায়গা করে নিয়েছেন স্বল্প সময়েই। সোনাগাজী দাগনভূঞায় গত দুই বছরের বেশী সময় করোনাকালীন মহা ক্লান্তিলগ্নেও থেমে নেই উন্নয়নের চিত্র।
ফেনী ৩ সাংসদের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা এবং বাস্তবায়ন যা বর্তমানে ফেনীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ, একক প্রচেষ্টায় তৎকালীন সরকার প্রদানে সন্মতি আদায় করণ, ২০০৭ সালে ফেনীতে ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন, সোনাগাজী (ফেনী) মীরশ্বরাই (চট্রগ্রাম) এর মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করণ, সোনাগাজীর দক্ষিণাংশ ভাঙ্গনরোধে বাঁকা নদী সোজা করণের প্রকল্প গ্রহনে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়া এবং বাস্তবায়নে ভূমিকা।
এছাড়া ২০০৭ সালে মাত্র এক বছরের মধ্যে সোনাগাজীতে ১১০ কিলোমিটার ভাঙ্গা রাস্তা পাঁকাকরন, ২০০৭ সালে সোনাগাজীতে মিল্ক ভিটার কারখানা স্থাপন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন, বেশ কয়েকটি স্কুল ভবন নির্মানের ব্যাবস্থা করা, বিদেশী অনুদানে মসজিদ স্থাপনের ব্যাবস্থা করা,পূজা মন্ডপ সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য তহবিল বরাদ্ধের ব্যাবস্থা করা, বিভিন্ন মাদ্রাসায় ও সুবিধা বঞ্চিত লোকজনকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, সোনাগাজীর ডাকবাংলা ২০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপনের ব্যাবস্থা করেন তিনি।
এছাড়া অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা,এতিমখানা, পূজামণ্ডপ নির্মাণ, কবরস্থানের সীমানা দেয়াল নির্মাণ ও সংস্কার, শতশত রাস্তা সলিং ও পাঁকাকরন, স্কুল কলেজ ভবণ নির্মাণ ও সংস্কারসহ ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র সোনাগাজী ও দাগনভূঞায় দৃশ্যমান।
এর মধ্যে আশানুরূপের চেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন অত্র অঞ্চলের জনগন। দেশের নামকরা একজন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মানুষের কল্যাণে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় সোনাগাজী দাগনভূঞার জনগন গর্ববোধ করেন।
এ বিষয়ে সাংসদ লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী বাংলারদর্পনকে জানান, অনিয়মতান্ত্রিক না হয়ে স্বদিচ্ছা দিয়ে যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে ও কঠিন কাজগুলো করা সম্ভব জনগন যদি আমার পাশে থাকে।
সোনাগাজী দাগনভূঞায় আনুপাতিক হারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং হবে ইনশাআল্লাহ। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন যেন বিতর্কের সৃষ্টি না হয় সে দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।