বাংলার দর্পন ডটকম ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে এর কম রানের মধ্যে অলআউট করতে হবে টাইগারদের।
পিঠের ইনজুরির কারণে নেই ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে সৌম্য সরকারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি বাধেন ইমরুল কায়েস।
ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই মারমুখি ছিলেন দুজন। রান আসতে থাকে বেশ। এই জুটি থেকে আসে ৭১ রান। তারপরই হঠাতই ছন্দপতন। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকার আউট ১৭ বলে ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে।
তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছক্কার মার। ৬.৩ ওভারে গুনারত্নের বলে তার হাতেই ক্যাট দেন সৌম্য। প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় রান তখন ৭১।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন দুজন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলেছেন ৬৮। শেষ পর্যন্ত ৭১ রান। বাংলাদেশের আগের সেরা উদ্বোধনী জুটি ছিল তামিম ইকবাল ও এনামুল হকের ৬৩, নেপালের বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুলের সঙ্গে সাব্বিরের রসায়ন ঠিক জমেনি। ফিফটির পথে ধাবমান ইমরুল রান আউট। ৭.৫ ওভারে ইমরুল যখন ফিরছিলেন, তার নামের পাশে ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। যার মধ্যে ছিল চারটি চার একটি ছক্কার মার। দলীয় ৭৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন বাংলাদেশের।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব-সাব্বির ভালোই আগাচ্ছিলেন। এই জুটি যোগ করেন ৪৬ রান। তবে ভুল শটে বোল্ড হয়ে ফেরেন এরপর হার্ড হিটার সাব্বির রহমান রুম্মন। ১৩.১ ওভারে সঞ্জয়ের ইয়র্কার লেন্থের বল ক্রস ব্যাটে চালাতে গিয়ে বোল্ড তিনি। ১৮ বলে এক ছয়ে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির।
ভালোই আগাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। ভাবা হচ্ছিল ফিফটি পেতেও পারেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু না। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে তিনি কুলাসেকারার বলে বোল্ড তিনি। বাংলাদেশের দলীয় স্কোর তখন ১৩৯ রান।
শেষের দিকে হ্যাটট্রিক করেছেন শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ১৯তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মালিঙ্গা আউট করেন মুশফিক, মাশরাফি ও অভিষেক ম্যাচে নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৮ উইকেটে ১৬৯ রান।
আজ বাংলাদেশ স্কোয়াডে পরিবর্তন এসেছে আরও একটি। পেসার তাসকিনও বাদ পড়েছেন। তার বদলে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের।
প্রথম টি-টোয়েন্টি শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ৬ উইকেটে। মাশরাফির বিদায় রাঙাতে শেষ ম্যাচটি জিততে মরিয়া বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: ইমরুল, সৌম্য, সাব্বির, মুশফিক, সাকিব, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি, মিরাজ, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর।