ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় কৃষকের প্রণোদনার সরকারি ৩৬ ব্যাগ বীজ ও ২৮ বস্তা সার পাচারকালে উপজেলা সদর ধোবাউড়া বাজার ব্রীজের পুর্বপাশে মেসার্স সরকার স্টোরের সামনে থেকে আটক করেছে জনসাধারণ।
গতকাল মঙ্গলবার প্রান্তিক কৃষকদের আউষ প্রণোদনা হিসেবে ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের ১০৫ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। জন প্রতি ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমপি ও ০৫ কেজি আউষ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসারের সরকারী গোডাউন থেকে এই সার ও বীজ পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে চারটি রিক্সা ভর্তি পাচারকৃত মাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। রিক্সা চালক বাসেক এর বক্তব্য অনুযায়ী জানা গেছে ধোবাউড়া পুর্ববাজার “মেসার্স সরকার স্টোর” সেন্টু সরকার এর দোকানে ১০/১২ বস্তা সার ও বীজ নামবে, এবং সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কসর আলী ও আরও ৬ জন ইউপি সদস্যের মাল গরু হাটে নামানো হবে, ইউপি সদস্যরা সেখান থেকে ভাগাভাগি করে নিবে। অন্য গাড়ীতে থাকা বীজ ধানের ব্যাগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল হক অপু স্যারের এখানে নামবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে “মেসার্স সরকার স্টোর” এর পরিচালক সেন্টু সরকার বলেন আমি এই মাল কার জানিনা, রিক্সা চালক আমার ঘরের সামনে কেন মাল নামাচ্ছে তারাই জানে। ইউপি সদস্য কসর আলীকে মোটোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল হক অপু বীজের বস্তার কথা অস্বীকার করেন, এবং উল্টো রিক্সা চালক বাসেক ধরা পরে এখন বাজে বকছে বলে দাবি করেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সারোয়ার তুষারের কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যাইনি। অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন আমি খবর পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে পাচারকৃত মাল জব্দ করিয়েছি, পরে থানায় সার, বীজ রাখার মত জায়গা না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের নির্দেশে কৃষি অফিসারের গোডাউনে পাঠিয়ে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন বিষয়টি শুনেছি এবং সাথে সাথে পাচারকৃত সরকারি মাল জব্দ করিয়েছি, আমরা দ্রুত তদন্ত করে এর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।