নড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি ॥
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই বন্ধু ।

গতকাল (১৬ এপ্রিল) শুক্রবার রাত ৯টার সময় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলের রাজনগর ইউনিয়নের শরীয়তপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলি ব্রিজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বায়জিদ শিকদার (১৭) কে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আহত অপর মোটরসাইকেল আরোহী অভি আকন (১৬) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে ফেরিতে মারা যায় অভি।

নিহত শিক্ষার্থী বায়েজিদ ও অভি ডগ্রী ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির ছাত্র ছিল। দুজনেই একে অপরের ভালো বন্ধু।

রাজনগর কাজী কান্দি গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার শিকদারের একমাত্র ছেলে বায়েজিদ সিকদার (১৭)। একই গ্রামের সোলাইমান আকনের একমাত্র ছেলে অভি আকন (১৬)।

নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপন দেওয়ান জানান, শুক্রবার ইফতারের পরে বায়েজিদ তার বন্ধু অভি নড়িয়া থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পরে রাজনগর বেইলি ব্রিজ এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বায়েজিদ ও অভি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু ছিল। ওরা দুইজন এই মেধাবী শিক্ষার্থী এবং বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ দুইজনের বাবা-মা ও পরিবার। এই অল্প বয়সে ওদের এই ভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছি না আমরা রাজনগর বাসি।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শংকর কর জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার সময় রাজনগর ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বায়েজিদ ও অভি নামে দুইজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। তারা দুইজনেই ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের বাড়ি রাজনগর ইউনিয়নের কাজিকান্দি গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *