রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী আজাদ রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় হরিসভার মোড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ রহমানের ওপর এ হামলা চালানো হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী জেলা যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতার সমর্থক সন্ত্রাসীরা এ হামলা করেছে বলে গুরুত্বর আহত আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে।
আহত আজাদের জবানবন্দি ও তার পরিবার জানায়, আ’লীগ নেতা আজাদ রাত বুধবার রাত সাড়ে ৮টা মটোরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে হরিসভা মোড় এলাকায় পৌছানো মাত্রই প্রতিদ্বন্দী কাউন্সিলর প্রার্থী এক যুবলীগ নেতার সমর্থকরা একদল স্বশস্ত্র ক্যাডার তার পথরোধ করে। এক পর্যায়ে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে সন্ত্রাসীরা রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা মৃত ভেবে তাকে রাস্তার উপর ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ঝালকাঠি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরন করেন। এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে বরিশাল নেয়ার পূর্বে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসা হলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আহত আ’লীগ নেতা আজাদ উল্লেখিত জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে সেখান থেকে তাকে দ্রুত শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক ও সম্ভব্য কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল শরীফ জানায়, সন্ধ্যার পর থেকে সে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে আড়ৎদারপট্টি, কাপুড়িয়াপট্টি থেকে তুল্লাপট্টি এলাকাবাসীর সাথে দেখা করে দোয়া চাওয়া ব্যস্ত ছিলাম। পৌরসভা নির্বাচনের যেখানে তফশিলও ঘোষনা হয়নি, সেখানে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দিকে হামলা করার অভিযোগ অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি আজাদ রহমানের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারী যেই হোক তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ-র্যাবসহ গোয়েন্দা বিভাগের কাছে জোড় দাবী জানান।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, হামলার খবর পেয়েই পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ শুরু করেছে। আহতের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে।