ধুলায় ভাসছে নাঙ্গলকোট : কৃষি কাজের ইঞ্জিনে চলছে মালবহনের কাজ

নাঙ্গলকোট সংবাদদাতাঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সর্বত্র বেপরোয়া ট্রাক্টর চলাচলের ফলে ধূলায় স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত। রাস্তা বাড়ীঘর অফিস আদালত সবখানে উড়ছে ধুলা বালি। করোনার ভয়ে নয় এখানে মাস্ক পরছে ধুলার ভয়ে। দাপড়িযে বেড়ানো অবৈধ ৫ শত যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের নিয়ন্ত্রনে কোন উদ্যোগনেই স্থানীয় প্রশাসনের। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে গ্রাম পাড়া মহল্লা পর্যন্ত এ ট্রাক্টরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের প্রায় ৬ লাখ জনগণ। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এদের এমন বেপরোয়া চলাচল।

করোনা ভাইরাসের কারণে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সকাল বেলায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, নুরানী মাদ্রাসা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত করা শিশু শিক্ষার্থীরা ট্রাক্টর গুলোর কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। বেপরোয়া চলাচলের ফলে ধুলাবালির কারণে দিনেরবেলায় নেমে আসে রাতের আধার।

অতিরিক্ত ধুলাবালির কারণে এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী চাকুরীজিবী, ব্যবসায়ী ও এলাকার জনসাধারণের চলচল ধুসকর হয়ে পড়েছে। এসব সড়কে চলাচলকারীদের সর্দি, কাশি, হাপানি’সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাক্টরের অবাধ যাতায়াতের কারণে রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

রাস্তার রাজা খ্যাত এসব অবৈধ ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচলের নেই কোন বৈধতা। তাছাড়া ট্রাক্টর চালক ও হেলপারদের নেই কোন গাড়ী চালানোর প্রশিক্ষণ। তারা আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদেরকে বখরা দিয়ে ম্যানেজ করে রাস্তায় চলাচল করছে। টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি টাক্টরের গায়ে বিশেষ স্টিকার দেয়া হয়। কিছুদিন পরপর স্টিকারের ধরণ পরির্বতন করা হয়।

কৃষি কাজের জন্য আমদানীকৃত ইঞ্জিনের সাথে ট্রলি যোগ করে তৈরি করা হয় এসব অবৈধ ট্রাক্টর। ট্রাক্টর গুলো ইট, বালু, মাটি ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনে ব্যবহার হয়। এসব অবৈধ ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে গ্রামীণ রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।

বিশেষ করে মাটি পরিবহরে সময় মাঠ থেকে মাটি বহন করতে রাস্তা কেটে চরম ক্ষতি করে যাচ্ছে। রাস্তা কাটার ফলে প্রতিবছর সরকারের কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া, কৃষি জমির উপরের মাটি কেটে নেয়ার কারণে মাটি উর্বরতা হারানোর ফলে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে না।

জানা যায়, জেলার সকল উপজেলায় ২০২০ সাল থেকে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ থাকলেও নাঙ্গলকোট উপজেলায় বিশেষ মহলের প্রভাব খাটিয়ে ও প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে টাক্টর চলাচল অব্যাহত রয়েছে। ফলে পুরো উপজেলা ব্যাপি জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন বিশ্বাস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এসব অবৈধ ট্রাক্টোরের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *