বেনাপোলে ৪৫দিনের মধ্যে সিঅ্যান্ডএফ নির্বাচনের নির্দেশ শ্রম মন্ত্রনালয়ের

আজিজুল হক, বেনাপোল :
দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল বেনাপোল বন্দরে দির্ঘ ৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্নের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। কিন্তু নানান প্রতিবন্ধকতায় এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনিশ্চিত দেখা যাচ্ছে।গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে আর বাণিজ্যিক স্বার্থে দ্রুত ভোট চাইছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে এ্যাসোসিয়েশনের সংশিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রভাবসহ সাংবিধানিক জটিলতায় এতদিন নির্বাচন সম্ভব হয়নি। তবে আইনের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল। নিয়ম,নীতি মেনে খুব দ্রুত নির্বাচন সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করবেন।

শনিবার(০২ জানুয়ারী) সকালে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি সময় সংবাদককর নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের অধিনে ৭৮১ জন সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আছেন। যারা আমদানি ককারকদের পক্ষে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করে পণ্য ছাড়করনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে থাকে। এসব সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্যিক সমস্যা মোকাবেলায় বড় ভুমিকা রাখেন সংগঠনটি। সর্বশেষ এ সংগঠনের অধিনে ২০১৪ সালে সিঅ্যান্ডএফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সভাপতি নির্বাচিত হয় মফিজুর রহমান সজন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা। এ কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। তবে পরবর্তীতে নির্বাচনের সময় পেরিয়ে গেলেও নানান প্রতিবন্ধকতায় জটিলতা সৃষ্টিতে এ পর্যন্ত কোন নির্বাচন হয়নি। অবশেষে সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনের দাবী জানালে সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের নজরে আসে। পরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ সভাপতি,সেক্রেটারীকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিয়ম মেনে নির্বাচন সম্পূর্নের নির্দেশ দিয়ে চিঠি প্রেরণ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর ।

সাধারণ ভোটার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জিরো প্লাসের সত্তাধিকারী আবুল হোসেন জানান, স্থলপথে বাণিজ্যিক দিক থেকে বেনাপোলের গুরুত্ব সব চাইতে বেশি। এখানে সুষ্ঠ ভাবে বাণিজ্য পরিচালনায় নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোতে বলিষ্ট নেতৃত্বের প্রয়োজন জরুরী।
নিয়মিত ভোটের চর্চা না থাকলে ভোটারদের কদর থাকেনা। এছাড়া করোনা চলছে ৯ মাস ধরে। আর নির্বাচন বন্ধ রয়েছে ৬ বছর। যেহেতু করোনার সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দেশে জাতীয়সহ অনান্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই সিঅ্যান্ডএফ নির্বাচন করতে খুব একটা বিপত্তি ঘটবে না।
বাণিজ্যিক সার্থে দ্রুত নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়া দরকার।

সাধারন ভোটার রাশেদুজ্জামান রাশু জানান, চিঠিতে বলা হয়েছে গত বছরের ১২ মার্চ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাহলে সাধারণ সদস্যদের কি না জানিয়ে মাছখানে কি কমিটি হয়েছে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটির চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন উজ্বল জানান, নির্বাচন ভোটারদের অধিকার। দ্রুত সব জটিলতা কাটিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে আবারে ভোটাররা তাদের মনোনিত প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন এমনটি মত প্রকাশ করেন করেন।

এদিকে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন সময় সংবাদকে জানান, সাংবিধানিক জটিলতার কারনে মামলা থাকায় এর আগে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার কারনে অনেকে নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক। দেশ ব্যাপী সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা নির্বাচনে ভোট প্রয়োগে বেনাপোলে আসতে হয়। এখনো অনেকে করোনা আক্রান্ত। তবে শ্রম মন্ত্রনালয়ের চিঠির প্রতি সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন শ্রদ্ধাশীল। ইতি মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। যদি জটিলতা নিরসন হয় নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পর্ণ করতে সব ধরনের চেষ্টা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *