সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশ ছাড়া যাঁদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৩৯হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রনালয়ের সুত্রমতে, ২০০২এর পর জামুকার সুপারিশ ছাড়া যারা গেজেট হয়েছেন তাদেরকে ফের যাচাইয়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিয়ষক মন্ত্রনালয়। উক্ত তালিকায় সোনাগাজী উপজেলার ১৩৮ মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে।
জানা যায়, ১৩৮ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র সাবেক কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন’র ভাই সৈয়দ শামসুদ্দিন, সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন’র ভাই আবুল কালাম, সাবেক কমান্ডার কেএম খুরশিদ আলম’র ভাই ছিদ্দিক আহমদ, কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহকারি কমান্ডার আবদুল হাই, জাতীয় পার্টি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আ.ক.ম ইসহাক, উপজেলা বিএনপি নেতা মোকতার খান, মাস্টার কবির আহম্মদ, আহমেদ করিম, রুহুল আমিন খান, সলিম উল্যাহর নাম রয়েছে।
মুজিব বাহিনীর(বিএলএফ) সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম জানান, যুদ্ধকালে উপরোক্ত ব্যক্তিদের অনেকের বয়ষ ১০এর নিচে ছিল। অনেকে লাল বই ও ভারতীয় তালিকায় নাম নেই। তৎকালিন দায়ীত্বপ্রাপ্তদের সহযোগীতায় অনেক অমুক্তিযোদ্ধা নিজেদের নাম গেজেটে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
যুদ্ধকালিন ফ্রন্ট ফাইটার ফোর্স’র (এফএফ) থানা কমান্ডার শাহজাহান জানান, বিভিন্ন সময়ে অসধুপায়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অমুক্তিযোদ্ধা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে । সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অজিত দেব জানান, মন্ত্রনালয়ের তালিকায় থাকা ১৩৮ জনের ফের যাচাইয়ের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
তারা হলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় সাংসদের প্রতিনিধি, জামুকার প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি । তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদেরকে ৩০ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারী(২০২১) প্রথম সাক্ষাতকার নেয়া হবে।
সৈয়দ মনির আহমদ,বাংলারদর্পণ।