সোনাগাজী (ফেনী)’ প্রতিনিধি :
সোনাগাজী পৌরসভাস্থ জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন চাকলাদার মার্কেটের মালিক জুলহাস হোসাইন রাসেল গংয়ের প্রতারনায় নিঃস্ব হচ্ছে ৩ ব্যবসায়ী।
জানা যায়, চাকলাদার মার্কেটের নিচতলার পুর্ব পাশের ১৪৪ বর্গ ফুটের ১ম দোকানটি চুক্তি অনুযায়ী ১/০১/২০১৮ থেকে ৩১/১২/২০২০ইং মেয়াদের জন্য আকবর হোসেন খোন্দকার রিগ্যান এর নিকট ভাড়া দেয়া হয়। জামানত ছিল ২লক্ষ ৫হাজার টাকা।
তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৭/১২/২০১৯ হইতে ৩০/০৬/২০২০ ইং মেয়াদের জন্য স্বর্ন ব্যবসায়ী বাহার উল্লাহর সাথে আরেকটি ভাড়ার চুক্তি করে রাসেলগং। জামানত ধার্য্য হয়েছিল সর্বসাকুল্যে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা । তবে রিগ্যান বহাল থাকায় বাহারকে দোকান বুঝিয়ে দিতে পারেনি প্রতারক রাসেল।
ওই দুইটি চুক্তির মেয়াদ ও বিরোধ নিষ্ফত্তি হওয়ার আগে ১/০৯/২০২০ হইতে তিন বছর মেয়াদের জন্য সানজিদা ড্রাগ হাউজের সাজল হকের সাথে আরেকটি চুক্তি করে প্রতারক রাসেলগং। এই চুক্তির জামানতের সাথে প্রজেশন সহ সর্বসাকুল্যে নেয়া হয় ৭লক্ষ টাকা।দোকান ছেড়ে দেয়ার পরও ব্যবসায়ীরা তাদের জামানাত ফেরত পাননি।
রিগ্যান জানান, লোভি ও প্রতারক রাসেলগং রাতের অাঁধারে ভাড়াটে সন্ত্রাসি দিয়ে আমার দীর্ঘদিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘রিগ্যান ফ্যাশন গ্যালারী ‘ জোরপুর্বক উচ্ছেদ করেছে। এতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে । এ ঘটনায় ফেনী’ আদালতে প্রতারক রাসেল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উক্ত মামলা বর্তমানে ফেনীর পিবিআই তদন্ত করছে।
আকাশ জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারী বাহার উল্লাহ জানান, রিগ্যানের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলেই আমার সাথে চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ থাকাকালীন রিগ্যানকে জোরপুর্বক উচ্ছেদ করলেও আমাকে দোকান বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এতে গত ১বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছি। এ ঘটনায় সোনাগাজী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী বাহার উল্লাহ।
সাজল হক সোহেল জানান, অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে বিরোধের বিষয়ে আমি জানিনা। আমি দোকানের ৩বছরের চুক্তি করেই ব্যবসা শুরু করেছি।
জুলহাস হোসাইন রাসেল জানান, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রিগ্যান ফ্যাশনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। নিয়ম মেনে সানজিদা ফার্মেসীর সাথে চুক্তি হয়েছে এবং তিনি দোকান বুঝে পেয়েছেন। বাহারের সাথে দোকান চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
সোনাগাজী সার্কেল অফিস ও মডেল থানা সুত্রে জানা যায়, উক্ত দোকান নিয়ে গত ১বছর যাবত একাধিক অভিযোগ এসেছে। মার্কেটের মালিক রাসেল নিজেই ব্যবসা করবেন মর্মে সার্কেল অফিসে একটি মুছলেকা দিয়ে গেছেন। এখন অন্য ব্যবসায়ী দেখে দ্বিতীয়বার বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এটা এক ধরনের প্রতারনা।