সোনাগাজী প্রতিনিধি :
সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাট বিষ্ণুপুরে অবস্থিত কুটিরহাট ভূমি অফিস ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গ রাজ্য হিসেবে সাধারণ মানুষ জানে। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ ভূমি উন্নয়নকর পরিশোধ এবং জমা খারিজের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ও দেওয়ানী মামলার প্রতিবেদনের জন্য আসতে হয়।
উক্ত অফিসের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা দেবাশীষ রায় কর দাতারা ভুমি কর দিতে চাইলে সরকারী ভলিয়মের পাতা উল্টিয়ে বলে আপনার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা রয়েছে। তাই ভুমি কর নেওয়া সম্ভব নয়। কর দাতারা যদি পূর্বের দাখিলা প্রদর্শন করলে বলেন মামলাটি ইদানিং হয়েছে।
আগত কর দাতারা মামলার ভয়ে তাহার সাথে আপোষ করতে বাধ্য হয় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে। অফিসে রয়েছে তাহার বহিরাগত পালিত দালাল চক্র। দালালের মাধ্যমে ঘোষ বাণিজ্যের সমযোতা হয়। দেবাশীষ রায় আরও বলেন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য উপরের মহলে তদবির করতে নগদ টাকা প্রয়োজন নগদে দিয়ে যান এবং বলে আগামী কাল আসেন দাখিলা দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীদের থেকে কর পরিশোদের ৬/৭গুন বেশী টাকা আদায় করে বলে তাহার হাতে এলাকার করদাতারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অত্যান্ত সুকৌশলে কর দাতাদের বলেন আমার অফিসে দাখিলা বই নাই। দাখিলা বই আনতে হলে উপজেলায় টাকা দিতে হয় টাকা দিয়ে যান। এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে যান।
পরবর্তীতে উক্ত করদাতাকে মোবাইলে জানানো হয় না। উক্ত করদাতারা আসলে খারাপ আচরণ করে। অফিসে থেকে বের করে দেয়। যদি কাহারো ৫টি দাখিলা হয়। ২/৩টি দাখিলা কেটে বলে পরে আসেন। দেবাশীষ রায়কে বাদবাকী দাখিলার জন্য অনুরোধ করলে করদাতাদের সাথে মুদ্রণ অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করে বাহির করে দে। তাহার বিরুদ্ধে আরও বহু অভিযোগ রয়েছে। কোন প্রবাসী লোক ভুমি কর দিবার জন্য কুঠিরহাট আদায় শিবিরে গেলে দেবাশীষ রায় সুকৌলে তাহার আর্থিক অবস্থা জেনে টাকা হাওলাত চায়। টাকা নেওয়ার পর ফেরত দেওয়ার সময় তালবাহানা শুরু করে এবং খারাপ আচরণ করে বলে তাহার হাত অনেক উপরের মহলে রয়েছে। এ বলে ভয়ভীতি দেখায়।
উপজেলা ভুমি অফিস থেকে নামজারি জমা খারিজ এর প্রাথমিক রিপোর্ট এর নির্দেশ আসলে আবেদনকারীকে মোবাইল ফোন করে বলেন জুরুরী দেখা করার জন্য। আবেদন কারী দেখা করতে গেলে প্রতি আবেদনে ৩/৪হাজার টাকা এবং জুরুরী ভাবে রিপোর্ট দিতে হলে আর্থিক বিবেচনা ৮/১০হাজার টাকা আদায় করে নেয়। তাহার হাতে প্রতারণার শিকার বহু কর দাতা এর মধ্যে, চর মজলিশপুরের সামছুল হক থেকে জমা খারিজ রিপোর্ট আটক করে নগদে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
চর লক্ষীগঞ্জের বনমাঝি বাড়ির আবদুর রবের মেয়ে লায়লী বেগম থেকে ৫ হাজার টাকা, চান্দলা গ্রামের কামলার মফিজ থেকে ৪২৩টাকার দাখিলা দিয়ে ৮০০টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী তাহার হাত হইতে রক্ষার জন্য উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আরও অনিয়ম ও দুর্ণীতির তথ্যবহুল সংবাদ এর জন্য চোখ রাখুন আগামী সংখ্যা।